ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে আলোচনায় বসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ইউক্রেনে রুশ অভিযানের এক বছর পূর্তিকে সামনে রেখে সি চিন পিংকে লেখা এক চিঠিতে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। খবর আল–জাজিরার।
গতকাল বুধবার জেলেনস্কির স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কা বলেন, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে চিঠিটি চীনের প্রতিনিধি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে জেলেনস্কি বারবারই সি চিন পিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। তাঁর আশা, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর বেইজিং প্রভাব খাটাতে পারবে।
জেলেনস্কা সাংবাদিকদের বলেন, সংলাপে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে সৌজন্যমূলক চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ আমন্ত্রণে সাড়া পাওয়া যাবে বলে অত্যন্ত আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার আগে আগে চীন ও রাশিয়া ‘অপরিসীম’ অংশীদারত্ব ঘোষণা করে। ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান দেখিয়ে আসছে বেইজিং। আবার একই সময়ে মস্কোর সঙ্গেও সম্পর্ক গভীর করে যাচ্ছে চীন। বিশেষ করে জ্বালানি খাতে দু দেশের সম্পর্ক গভীর হচ্ছে।
তবে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, ইউক্রেনে লড়াই বন্ধে আলোচনার জন্য চীন শেষ পর্যন্ত মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।
গত সেপ্টেম্বরে তৎকালীন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, তা নিশ্চিত করতে লড়াইরত সব পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
আগস্টে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, তিনি সিকে আলোচনার জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছেন। এ আলোচনা সহায়ক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।