ভূমিকম্পে তুরস্কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিয়ারবাকির, তুরস্ক
ভূমিকম্পে তুরস্কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিয়ারবাকির, তুরস্ক

বেঁচে যাওয়া এক তরুণ তুর্কির বর্ণনায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের মুহূর্ত

তুরস্কের মালত্য শহরে বাস করেন ২৫ বছর বয়সী ওজগুল কনাকচি। দেশটিতে আজ সোমবার ভোরে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রত্যক্ষদর্শী তিনি। ভূমিকম্পে অক্ষত ওজগুল বলেন, চোখের সামনে ভবনের জানালাগুলো সশব্দে চূর্ণবিচূর্ণ হতে দেখেছেন।

স্থানীয় সময় আজ ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। পরে আরও ভূমিকম্প (আফটার শক) হয়। ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে।

ভূমিকম্পে অক্ষত আছেন ওজগুল। ভূমিকম্পের সময় তিনি ও তাঁর ভাই ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বলি, ‘তুমি কি কাঁপছ?’

ওজগুল আরও বলেন, ‘আমি ল্যাম্পের (বাতি) দিকে তাকালাম। মনে হচ্ছিল ল্যাম্পটি ভেঙে যাচ্ছে। আমরা আমাদের তিন বছর বয়সী ভাতিজাকে সঙ্গে নিয়ে লাফিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।’

ওজগুল বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে আফটার শকে একটি ভবনের জানালাগুলো ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।’

ভূমিকম্পে ওজগুলদের ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁদের আশপাশের পাঁচটি ভবন ধসে গেছে। তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন খুব ঠান্ডা রয়েছে। তুষারপাত হচ্ছে। এটা আরেক উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।

ওজগুল বলেন, সব লোক এখন রাস্তায় অবস্থান করছেন। তাঁরা কী করবে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত।

ভূমিকম্পের ঘটনায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে তুরস্ক। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে।