ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো

বেলারুশ সীমান্তে সোয়া লাখ সেনা ইউক্রেনের

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের স্থল অভিযানের মধ্যে এবার বেলারুশ সীমান্তেও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত রোববার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, দেশটির সীমান্তে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার সেনা জড়ো করেছে ইউক্রেন। জবাবে মিনস্কও সীমান্তজুড়ে যুদ্ধপ্রস্তুতিসহ সেনা মোতায়েন করেছে।

রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ এসব জানিয়েছে। লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তিনি বলেছেন, বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে এত বেশি মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে, যা আগে কখনোই এমন ছিল না। ইউক্রেনীয় বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করতে চাইলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট।

এদিকে রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর স্থল অভিযানের উদ্দেশ্য হলো সীমান্তের ওপার থেকে রুশ বাহিনীর হামলা প্রতিরোধ করতে ‘বাফার জোন’ তৈরি করা। এমন সময় তিনি এ কথা বললেন, যখন কুরস্কে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে কুরস্কে আকস্মিক স্থল অভিযান শুরু করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ব্যাপক লড়াইয়ের মধ্যে ধীরে ধীরে সামনে অগ্রসর হচ্ছে তারা। তবে নিজ দেশের পূর্বাঞ্চলে চাপের মুখে রয়েছে ইউক্রেন। সেখানে ইউক্রেনের সামরিক সরঞ্জাম মজুত রাখা একটি শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে রুশ বাহিনী।

কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে কুরস্কে স্থল অভিযান চালিয়েছে কিয়েভ। এর মধ্যে রয়েছে রুশ বাহিনীর হামলার মুখে ধুঁকতে থাকা সেনাদের মনোবল বাড়ানো এবং সম্ভাব্য আলোচনার টেবিলে নিজেদের অবস্থান শক্ত করা।