মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অ্যালেক্সি নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ক্ষোভ

রাশিয়ায় কারাবন্দী ভিন্নমতাবলম্বী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ ও শোক প্রকাশের মধ্য দিয়ে শুক্রবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হয়েছে।

সম্মেলনের সভাপতি ক্রিস্টোফ হিউসগেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, অ্যালেক্সি নাভালনি এই সম্মেলনে অদূর ভবিষ্যতে আসতে চেয়েছিলেন। তবে আজকে তাঁর স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া সম্মেলনে উপস্থিত হন। ভ্লাদিমির পুতিন ও তাঁর সহযোগীদের সমালোচনা করে ইউলিয়া নাভালনায়া বলেন, ‘তাদের জানা উচিত আগামীতে তারা তাদের অপকর্মের শাস্তি এড়াতে পারবে না।’

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও হতাশার সঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘কারাগারে বন্দী অবস্থায় নাভালনির মারা যাওয়ার খবর স্বৈরশাসক পুতিনের বর্বরতার একটি নতুন চিহ্ন।’ সম্প্রতি ন্যাটোর সদস্যদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন হ্যারিস। তিনি বলেন, ‘ইউরোপ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে এবং আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আমি ইউক্রেনের পাশে আছি।’

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন হলো আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নীতির বিষয়ে বিশ্বের বৃহত্তম সম্মেলন। ৫০টির বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, ৬০ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২৫ জনের বেশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। একই সঙ্গে অনেক রাজনৈতিক নেতা ও সামরিক প্রতিনিধি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

কমলা হ্যারিসের আগে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের শুরুতে দেওয়া বক্তৃতায় বিশ্বব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় নানা সমস্যা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, কিন্তু তারা ক্রমে বিভক্ত হচ্ছে। গুতেরেস স্পষ্ট ভাষায় ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের প্রাণহানি ভয়াবহ। আমাদের অবশ্যই ইউক্রেনের জন্য একটি টেকসই এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে শান্তি দরকার।’ গাজা উপত্যকার যুদ্ধ সম্পর্কে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘হামাসের সন্ত্রাসী হামলা কোনোভাবেই ন্যায়সংগত নয়। ইসরায়েলের সামরিক প্রতিক্রিয়া, যা ফিলিস্তিনের বর্তমানে জনগণের ওপর সম্মিলিত শাস্তি, তা–ও কাম্য নয়।’ গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি জরুরিভাবে প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।