ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনকে তাঁর দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হত্যা করেছেন।
গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এক সম্মেলনে হাজির হন জেলেনস্কি। এ সময় তাঁর কাছে রুশ প্রেসিডেন্টের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গত মাসের শেষ দিকে রাশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোশিন ও তাঁর বাহিনীর কয়েক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হন।
জেলেনস্কি বলেন, সত্য হলো, তিনি (পুতিন) প্রিগোশিনকে হত্যা করেছেন। অন্তত তাঁদের কাছে এ তথ্যই আছে। অন্য কোনো তথ্য নেই। আর বাস্তব বিষয় হলো তিনি দুর্বল।
প্রিগোশিনের মৃত্যুর পেছনে পুতিনের হাত রয়েছে, জেলেনস্কি এমন দাবি করলেও তিনি তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখবে।
প্রিগোশিনকে হত্যার নির্দেশ পুতিন দিয়েছিলেন বলে যে কথা বলা হচ্ছে, তাকে ডাহা মিথ্যা হিসেবে অভিহিত করেছে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছিলেন ভাগনারের সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন। এই অসন্তুষ্টি থেকে তিনি গত জুনের শেষ দিকে বিদ্রোহ করেছিলেন। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কো অভিমুখে ভাগনার সেনাসহ যাত্রা করেছিলেন তিনি।
প্রিগোশিনের এ বিদ্রোহকে বিশ্বাসঘাতকতা ও পিঠে ছুরি মারার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন পুতিন। বিদ্রোহে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
একপর্যায়ে বেলারুশের মধ্যস্থতায় মস্কোমুখী অভিযাত্রা বন্ধ করেন প্রিগোশিন।সমঝোতায় বলা হয়েছিল, প্রিগোশিন তাঁর অনুগত যোদ্ধাদের নিয়ে বেলারুশে চলে যাবেন। মৃত্যুর কদিন আগে এক ভিডিওতে প্রিগোশিন তাঁর জীবন নিয়ে আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিলেন বলে সম্প্রতি খবর বের হয়।