প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দর্শনার্থীর জ্যাকেটে লুকিয়ে পালাল চিড়িয়াখানার বাদুড় 

বন্দী হয়ে কে বা থাকতে চায়! মুক্ত–স্বাধীন জীবনই সবার কাম্য। জার্মানির একটি চিড়িয়াখানার ছোট্ট একটি বাদুড়ও সম্ভবত বন্দিদশায় আর থাকতে চায়নি। তবে যে উপায়ে প্রাণীটি চিড়িয়াখানা থেকে পালিয়েছে, তা রীতিমতো খবরের শিরোনাম হয়েছে।

ছোট্ট ওই বাদুড় জার্মানির দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের কার্লসরুয়া চিড়িয়াখানায়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলতি অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলেন এলিনা ফেল। তাঁর জ্যাকেটের ভেতর ঢুকে পড়েছিল বাদুড়টি। বাড়িতে ফেরার পর প্রাণটির হদিস পান এলিনা।

জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএর তথ্য বলছে, ৩০ বছর বয়সী এলিনা পেশায় শিক্ষক। তিনি তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় বাদুড়ের গুহার ভেতর ঢুকেছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর নিজের জ্যাকেট খুলে যা দেখতে পান, তার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না এলিনা। জ্যাকেটটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে ছোট্ট একটি বাদুড় টুপ করে মেঝেতে পড়ে।

এলিনা বলেন, কখন বাদুড়টি তাঁর পোশাক আঁকড়ে ধরে লুকিয়ে পড়েছে, সে বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ জানতেন না তিনি। বরং জ্যাকেট থেকে কিছু একটা খসে পড়তে দেখে তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন হ্যালোউইন উদ্‌যাপন করতে গিয়ে তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে মজা করে কিছু একটা করেছেন। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখতে পান, সেটি সত্যিকারের একটি প্রাণী। সেটিকে দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। তিনি ভেবেছিলেন, বাদুড়টি মারা গেছে। কিন্তু প্রাণীটি নড়ে ওঠে। এমনকি তাঁর হাতে ছোট্ট করে কামড়ও দেয়। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে খানিকটা হতবিহ্বল হয়ে পড়লেও নিজেকে সামলে নেন এলিনা।

বাদুড়ের বিষয়ে জানতে একজন প্রাণিবিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এলিনা। তাঁর পরামর্শে ছোট্ট বাদুড়টিকে একটি বাক্সের ভেতর ভরে রাখেন। সেটিকে খেতে দেন মধু মেশানো পানি ও কলা। রাতভর বাদুড়টি বাক্সের ভেতরই থাকে। সেটি যেন খাবার পায় এবং কোনো ধরনের অস্বস্তিতে না পড়ে, তা খেয়াল রাখেন এলিনা। সকালে তাঁর স্বামী ও ছেলে বাদুড়টিকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যান। চিড়িয়াখানার এক মুখপাত্র বলেন, পাতার মতো দেখতে নাকের অধিকারী (লিফ–নোজড) বাদুড়টি নিজের গুহায় ফিরে গেছে এবং ভালো আছে।

চিড়িয়াখানার ওই মুখপাত্র আরও বলেন, চিড়িয়াখানাটি থেকে এই প্রথম কোনো বাদুড়ের দর্শনার্থীর সঙ্গে এত দূর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটল।