ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধ ক্ষেত্রে তাঁর দেশের বাহিনী ‘কঠিন’ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর দেশগুলোর প্রতি আরও অস্ত্রসহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। খবর সিএনএন ও আল–জাজিরার।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘রুশবাহিনী পূর্বাঞ্চলের লুহানস্কে হামলা জোরদার করেছে। আগামী দিনগুলোয় ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে বড় হামলার পরিকল্পনা করছে তারা। এ কঠিন পরিস্থিতিতে ন্যাটোর দেশগুলোর প্রতিশ্রুত অস্ত্র ও ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা মেরামতের যন্ত্রাংশ আমাদের প্রয়োজন।’
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কিছুদিন ধরেই বলা হচ্ছে, এবারের শীতে দেশটিতে বড় ধরনের হামলা চালাতে চায় মস্কো। এবার বুখারেস্টে গতকাল শুরু হওয়া দুই দিনের ন্যাটো মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে জেলেনস্কি আরও অস্ত্র চাইলেন। তবে ন্যাটোর বৈঠকে ইউক্রেনকে অস্ত্র ছাড়া জ্বালানি, ওষুধের মতো মানবিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে ন্যাটো জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের অখণ্ডতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর যন্ত্রাংশ কিনতে ইউক্রেনকে ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল বলেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গের অভিযোগ, ইউক্রেন যুদ্ধে শীতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার রকেট লঞ্চার ব্যবস্থা (এলআরইউ) সরবরাহ করেছে ফ্রান্স। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেস্কি রেজনিকভ আজ বুধবার টুইটে এ তথ্য জানান। এর আগে তিনি যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিতে জার্মানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দোনেৎস্কে গতকাল রুশ গোলাবর্ষণে অন্তত পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। এক বিবৃতিতে দোনেৎস্কের আঞ্চলিক সেনা প্রশাসনের প্রধান পাভলো ইয়ারলেঙ্কো এ তথ্য জানান।
এদিকে স্থানীয় সময় আজ বুধবার স্পেনের মাদ্রিদে ইউক্রেনের দূতাবাসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন। স্পেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।