ক্যানসারের চিকিৎসার অংশ হিসেবে কেমোথেরাপি নেওয়া শেষ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন। বলেছেন, এ বছরটা তাঁর জন্য ‘অবিশ্বাস্য রকমের’ কঠিন ছিল।
কেট মিডলটনের ‘অতি ব্যক্তিগত’ একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে কেনসিংটন প্যালেস। ওই ভিডিওতে কেট এ কথা বলেন।
গত জানুয়ারি মাসে দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কেট। সেই সময় ব্রিটিশ রাজপরিবারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তাঁর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে সে সময় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
তারও আগে থেকে কেটকে প্রকাশ্য কোনো আয়োজনে দেখা যায়নি। কেটের অসুস্থতা ও প্রকাশ্যে না আসা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
এর মাস দু-এক পর একটি ভিডিও বার্তা দেন কেট। তাতে অশ্রুসিক্ত নয়নে নিজের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার কথা জানান তিনি।
সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত জুনে মধ্য লন্ডনে রাজা তৃতীয় চার্লসের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত বার্ষিক সামরিক কুচকাওয়াজে তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে রাজকীয় ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে যোগ দেন কেট। জুলাইয়ে উইম্বলডন টেনিসের পুরুষদের ফাইনালেও দেখা যায় কেটকে।
এ বছর অল্প কয়েকটি আয়োজনে দেখা যেতে পারে কেটকে। তিনি নভেম্বরে রিমেম্বারেন্স ডে বা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সামরিক সদস্যদের স্মরণে পালিত দিবস এবং ডিসেম্বরে বড়দিনের কনসার্টে যোগ দিতে পারেন।
তবে ভিডিও বার্তায় কেট বলেছেন, এ বছরটা তাঁর জন্য ‘অবিশ্বাস্য রকমের’ কঠিন ছিল। ক্যানসার হঠাৎ তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে।
যদিও কেটের সেরে ওঠা নিয়ে সাম্প্রতিক ভিডিওতে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে এটাও বলা হয়েছে, এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া বাকি। কেনসিংটন প্রাসাদ বলেছে, কেট ক্যানসারমুক্ত হয়েছেন কি না, এমনটা এ পর্যায়ে বলা সম্ভব নয়।
ক্যানসার মোকাবিলার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ভিডিওতে কেট বলেন, এ অভিজ্ঞতা বেশ জটিল, ভীতিকর আর অপ্রত্যাশিত।
গত মাসে নরফোকে এই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। ভিডিওতে কেট জানান, ক্যানসারের চিকিৎসার অংশ হিসেবে তিনি কেমোথেরাপি নেওয়া শেষ করেছেন।
কেট বলেন, ‘গ্রীষ্মের শেষের দিকে এসে আমি আপনাদের এটা বলতে পারব না যে অবশেষে আমার কেমোথেরাপির চিকিৎসা শেষ করাটা কতটা স্বস্তির বিষয়।’ এ সময় তাঁকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাঁটতে ও গাড়ি চালাতে দেখা যায়।