ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রাসেলস সফর করেছেন। সফরকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে সেনা পাঠাক। তবে ইউরোপের অন্য দেশগুলোর নেতারা এ প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না। তাঁরা বারবার বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ুক, তা তাঁরা চান না।
এবারের ব্রাসেলস সফরে গতকাল বুধবার মাখোঁর সঙ্গে বৈঠক করেন জেলেনস্কি। এরপর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে প্রেসিডেন্ট মাখোঁ প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাঁর সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শান্তির পথে যেতে গেলে এটা জরুরি। আমরা মনে করি, শান্তির জন্য কিছু নিশ্চয়তা থাকা দরকার।’
ন্যাটো মহাসচিবের বক্তব্য
ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে শীর্ষ বৈঠকের আগে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের যা দরকার, সেটা তাদের দেওয়াটা জরুরি। তাহলেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই যুদ্ধে জিততে পারবেন না।’
সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি কীভাবে হতে পারে, তা নিয়ে রুটে কোনো কথা বলেননি। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়টি ত্বরান্বিত হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।
শলৎজ যা বললেন
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সামরিক সহায়তা দেওয়া দরকার। ইউক্রেনের জানানো দরকার, শান্তি চুক্তিতে তারা কীভাবে পৌঁছাতে চায়।’
শলৎজ মনে করেন, ‘ইউক্রেনের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্প্রতি ফোনে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, ইউক্রেন নিয়ে একসঙ্গে একটা ইতিবাচক নীতি নিয়ে চলা সম্ভব হবে।’