যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের অনেক নাগরিক প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন
যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের অনেক নাগরিক প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন

শরণার্থী নাগরিকদের ইউক্রেনে ফিরতে মানা কিয়েভের

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর দেশটির যেসব নাগরিক ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁদের দেশে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনের সরকার। কিয়েভ বলেছে, আসন্ন শীত পর্যন্ত শরণার্থী এসব নাগরিকের দেশে ফেরা উচিত হবে না।

সাম্প্রতিক দিনগুলোয় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রুশ বাহিনীর একের পর এক হামলায় শীতকালে বিদ্যুৎ অবকাঠামো ব্যাপক চাপের মুখে পড়ার শঙ্কা করা হচ্ছে। তাই নাগরিকদের দেশে না ফেরার আহ্বান জানাচ্ছে ইউক্রেনের সরকার।

কিয়েভের পক্ষ থেকে দেশের শরণার্থী নাগরিকদের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিয়ানা ভেরেশ্চুক। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ অবকাঠামো পরিস্থিতি সামলাতে পারবে না। আপনারা দেখছেন, রাশিয়া কি করছে। শীতে আমাদের তো বাঁচতে হবে।’

ভেরেশ্চুক বলেন, যদিও তিনি চান বসন্তেই বিভিন্ন দেশে থাকা ইউক্রেনের নাগরিকেরা দেশে ফিরে আসুক কিন্তু এখন তাদের দেশে ফিরে না আসা উচিত হবে কারণ পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি ঘটছে। তিনি বলেন, যদি সম্ভব হয় তাহলে কিছু দিন বিদেশেই থাকুন।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, একের পর এক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর এক তৃতীয়াংশের বেশি ধ্বংস হয়ে গেছে। ইউক্রেনের পুনর্গঠন নিয়ে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুরপর থেকে ইউক্রেনীয়রা দেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে শুরু করেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর হিসাবে রাশিয়াসহ ইউরোপে বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ৭৭ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।