ইউক্রেনে যেকোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করার অনুরোধ জানাতে আজ বৃহস্পতিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। আর একমাত্র এটিই ইউক্রেনে আবার আক্রমণ করা থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিরত রাখবে বলে মনে করছেন তিনি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর স্টারমার গতকাল বুধবার রাতে ওয়াশিংটনে পৌঁছান। এমন এক সময় তিনি দেশটিতে গেলেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্যে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কমিয়ে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলাপ-আলোচনা যদি সফলভাবে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে, তবে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইউরোপের। আর এ–সংক্রান্ত প্রস্তাবে সামনে থেকে কাজ করছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। বিনিময়ে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করছে তারা। ইউরোপের উদ্বেগ, ট্রাম্প রাশিয়ার পক্ষ নিচ্ছেন এবং তিনি কয়েক দশকের ট্রান্স-আটলান্টিক জোট ভেঙে দিতে পারেন।
ওয়াশিংটনে যাওয়ার পথে উড়োজাহাজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘পুতিনকে আটকানোর জন্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা যথেষ্ট হতে হবে। যদি কোনো রক্ষাকবচ ছাড়া যুদ্ধবিরতি হয়, তবে তিনি (পুতিন) সুযোগের অপেক্ষায় থাকবেন এবং আবার ফিরে আসবেন। কারণ, ইউক্রেন নিয়ে তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা বেশ স্পষ্ট।’
ভবিষ্যতে ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে পাঠানো সেনাদের সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সম্ভাব্য উড়োজাহাজ, গোয়েন্দা তথ্য ও রসদ সেবা চেয়েছে ইউরোপ।
ওভাল অফিসের বৈঠকে শান্ত স্বভাবের লেবার নেতা কিয়ার স্টারমার ও বেপরোয়া ট্রাম্পের একেবারে বিপরীতধর্মী ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি দেখা যেতে পারে।
স্টারমার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনও করবেন। ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প ও ইউরোপের মধ্যে নিজেকে সেতুবন্ধন হিসেবে উপস্থাপন করছেন তিনি।