আদালতে প্রিন্স হ্যারি

‘সংবাদমাধ্যমের আগ্রাসনের’ শিকার হয়েছি আজীবন

প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল
ফাইল ছবি: রয়টার্স

এক শতাব্দীর বেশি সময় পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রথম কোনো সদস্য হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর জীবনে নিরন্তর গণমাধ্যমের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।

বেআইনিভাবে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৩৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই সদস্য। ডেইলি মিরর, সানডে মিরর ও সানডে পিপল-এর প্রকাশক কোম্পানি মিরর গ্রুপ নিউজপেপার্সের (এমজিএন) বিরুদ্ধে শতাধিক তারকা ও বিখ্যাত ব্যক্তি এ মামলা করেছিলেন।

লন্ডন হাইকোর্টে সাক্ষ্য প্রদানের সময় প্রিন্স হ্যারি বলেন, ‘আজকের দিনটি পর্যন্ত আমার জীবনের অধিকাংশ সময় গণমাধ্যমের আগ্রাসনের শিকার হয়েছি।’ রাজা তৃতীয় চার্লসের ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি। ব্রিটিশ রাজসিংহাসনে আরোহণের অপেক্ষমাণ তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন তিনি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যারির কাছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে এমজিএনের আইনজীবী অ্যান্ড্রু গ্রিন তাঁকে জেরা শুরু করেন। এ সময় আইনজীবী হ্যারির কাছে জানতে চান, তাঁকে নিয়ে লেখা যেসব নিবন্ধের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, যখন সেসব নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো তিনি পড়েছিলেন কি না।

এ সময় হ্যারি বলেন, ‘এসব নিবন্ধের অধিকাংশই আমার কাছের লোকজন পড়েছিল। এগুলো অনিবার্যভাবে আমাকে ঘিরে তাদের আচরণে পরিবর্তন এনেছিল। কিছু কিছু নিবন্ধের বিষয়ে আমাকে বলা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘এ নিবন্ধগুলোর তথ্য কীভাবে বেআইনিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছিল জানার পর, নিশ্চিতভাবে তা আমাকে হতবাক করেছিল।’