যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আরও এগিয়ে গেলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের চেয়ে তিনি ২২ পয়েন্ট এগিয়ে। অপিনিয়াম রিসার্চ নামের একটি জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের নিয়ে জরিপ করেছে। গতকাল শনিবার প্রকাশিত তাদের জরিপের ফলাফলে এমনটাই দেখা গেছে।
অপিনিয়াম রিসার্চ বলেছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কে হতে যাচ্ছেন, তা নির্ধারণ করবেন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা। অপিনিয়াম রিসার্চের জরিপে কনজারভেটিভ পার্টির মোট ৫৭০ জন সদস্য অংশ নেন। এর মধ্যে দলের নেতা নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন ৪৫০ জন। তাতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে লিজ ট্রাসের সমর্থন ৬১ শতাংশ আর ঋষি সুনাকের ৩৯ শতাংশ। অন্যান্য জরিপেও সুনাকের চেয়ে ট্রাস বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত কে হতে যাচ্ছেন, তা নির্ধারিত হবে কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় ২ লাখ সদস্যের ভোটে। একের পর এক বিতর্ক ও নিজ দলে মন্ত্রীদের বিদ্রোহের মুখে গত জুলাইয়ে বরিস জনসন ঘোষণা দেন। দলের সদস্যরা নতুন একজন নেতা নির্বাচিত করলেই তিনি পদত্যাগ করবেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ বলেছে, তারা ইতিমধ্যে ভোট দিয়েছে। মাত্র ২৯ শতাংশ বলেছে, যেকোনো সময় তাদের পছন্দের প্রার্থী বদলে যেতে পারে।
আটজন প্রার্থীর মধ্যে দফায় দফায় ভোটের মাধ্যমে কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা দুই প্রার্থী ট্রাস ও সুনাককে চূড়ান্ত করেন। এখন ডাক ব্যালটে একজনকে নেতা নির্বাচিত করবেন দলটির দুই লাখ সদস্য। কে জয়ী হবেন, তা জানা যাবে ৫ সেপ্টেম্বর। অপিনিয়াম রিসার্চ তাদের ওই জরিপ করেছে ৮ থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে।
জরিপে দেখা যাচ্ছে, ট্রাসকে সমর্থন করার প্রধান তিনটি কারণের অন্যতম হলো, ঋষি সুনাককে পছন্দ না করা। এ ছাড়া আরও প্রধান দুই কারণের মধ্যে রয়েছে, ট্রাস দলের সদস্যদের মধ্যে বেশি আস্থাভাজন এবং তিনি বরিস জনসনের অনুগত। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে সুনাকের পদত্যাগের মধ্য দিয়েই বরিসের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পথ তৈরি হয়েছে। সুনাকের পদত্যাগের পর একে একে বরিসের মন্ত্রিসভার অনেকেই পদত্যাগ করেন।
এদিকে ঋষি সুনাকের সমর্থকেরা বলছেন, অর্থনীতি সম্পর্কে সুনাকের জানাশোনা বেশি ভালো। ট্রাসের চেয়ে তিনি বেশি যোগ্য এবং একই সঙ্গে বেশি মেধাবী।