নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
আর্মেনিয়া বলেছে, সংঘর্ষে তাদের তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে আজারবাইজান বলেছে, তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছেন।
আজারবাইজানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্ত অঞ্চলে তারা আর্মেনিয়ার একটি গাড়ি ধাওয়া করে। কারণ, তাদের সন্দেহ ছিল, ওই গাড়িতে বেআইনিভাবে অস্ত্র পাচার করা হচ্ছে। গাড়িটি থেকে আজারবাইজানের সেনার ওপর গুলি করা হয়। আজারবাইজানও তার জবাব দেয়।
আর্মেনিয়া বলছে, সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে তাদের পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের একটি গাড়ি যাচ্ছিল। আজারবাইজানের সেনা বিনা প্ররোচনায় তাঁদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। কর্মকর্তারাও পাল্টা গুলি চালান।
নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে দুই দেশের লড়াইয়ের ইতিহাস দীর্ঘ। ২০২০ সালে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধ হয়। যদিও আর্মেনিয়ার বক্তব্য, তাদের হাত থেকে কার্যত নাগর্নো-কারাবাখ কেড়ে নেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে দেশের ভেতরে বিক্ষোভও হয়েছে।
নাগর্নো-কারাবাখে মূলত আর্মেনিয়ার অধিবাসীদের বসবাস। এখনো সেখানে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় মানুষ থাকে। তাদের সঙ্গে আর্মেনিয়ার মূল ভূখণ্ডের যোগসূত্র লাচিন করিডর। আর্মেনিয়ার অভিযোগ, বেআইনি কয়লাখনি আছে, এই অভিযোগে, সেখানে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বেশ কিছু পরিবেশ কর্মী। ওই পরিবেশ কর্মীদের আজারবাইজান পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ।
কিছুদিন ধরেই লাচিন করিডরের অবরোধ নিয়ে উত্তাপ বাড়ছিল। এবার সরাসরি গুলির লড়াই হলো। এলাকায় এখনো যথেষ্ট উত্তাপ আছে।