ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ইজিয়াম শহরে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেনের এক আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, গণকবরটিতে অন্তত ৪৪০ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি রুশ বাহিনীর কাছ থেকে শহরটি দখলমুক্ত করেন ইউক্রেনের সেনারা। নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর শহরটিতে গণকবর পাওয়ার কথা জানাল ইউক্রেন।
ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর ইজিয়াম। ইজিয়ামে ইউক্রেনীয় সেনাদের মনোবল বাড়াতে দিন দুয়েক আগে আকস্মিক সফরে শহরটিতে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি খারকিভ অঞ্চলের আট হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা দখলমুক্ত করতে সক্ষম হওয়ার কথা জানান।
গতকাল খারকিভ অঞ্চল পুলিশের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা সেরহেই বলভিনভ স্কাই নিউজকে বলেন, ইজিয়াম শহরে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। সব কটি লাশের ফরেনসিক পরীক্ষা হবে।
বলভিনভ বলেন, ‘আমি বলতে পারি, এটা দখলমুক্ত কোনো এলাকার অন্তর্ভুক্ত একটি বড় শহরের বৃহত্তম গণকবরের একটি। এক জায়গা অন্তত ৪৪০ জনের লাশ সমাহিত করা হয়েছে।
গণকবরটিতে যাঁদের মরদেহ পাওয়া গেছে, তাঁদের কেউ কেউ গোলার আঘাত ও বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন বলভিনভ।
ইজিয়াম শহরে প্রাণহানি ও গণকবরের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ইজিয়ামের ঘটনাকে রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠের বুচা শহরে গণকবর পাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।
ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানের প্রথম ধাপে বুচা শহরে গণকবর পাওয়া যায়।
কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্রদের অভিযোগ, রুশ বাহিনী ইউক্রেন যুদ্ধাপরাধ করে চলছে। তবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা বা যুদ্ধাপরাধের কথা বারবার অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া সব জায়গায় মৃত্যুর চিহ্ন রেখে যাচ্ছে। এর জন্য দেশটিকে অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।