তালেবানের নাম আর সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় রাখতে চাইছে না রাশিয়া। রুশ প্রশাসনের ‘সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে’ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই অচিরে ওই তালিকা থেকে তালবানের নাম বাদ দেবে মস্কো।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার এ কথা জানানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাস।
এ বিষয়ে আফগানিস্তানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ প্রতিনিধি জামির কাবুলভ বলেন, তালেবানের নাম সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া পেরিয়ে তবেই কার্যকর করতে হবে।
২০২১ সালের আগস্টে পশ্চিমা-সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতায় ফেরে তালেবান। এর অব্যবহিত আগে দেশটি থেকে দুই দশক পর বিদায় নেয় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সেনারা। ক্ষমতায় ফিরে আসার পর ধীরে ধীরে তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছে মস্কো। যদিও তালেবান এখনো রাশিয়ায় বৈধ হিসেবে গণ্য নয়।
এর আগে গত জুলাই মাসে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফগানিস্তানের তালেবানকে মিত্র হিসেবে বিবেচনা করছে তাঁর দেশ।
২০২১ সালের আগস্টে পশ্চিমা–সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতায় ফেরে তালেবান। এর অব্যবহিত আগে দেশটি থেকে দুই দশক পর বিদায় নেয় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সেনারা। ক্ষমতায় ফিরে আসার পর ধীরে ধীরে তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছে মস্কো। যদিও তালেবান এখনো রাশিয়ায় বৈধ হিসেবে গণ্য নয়।
২০০৩ সালে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল রাশিয়া। এখন দুই দশকের বেশি সময় পর এসে তালিকা থেকে তালেবানের নাম বাদ দেওয়ার এ উদ্যোগ কাবুলের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিশ্বের কোনো দেশ এখন পর্যন্ত তালেবানকে আফগানিস্তানের বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও তারা চীন ও রাশিয়ার মতো আঞ্চলিক বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে। এমনকি তাদের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন বৈঠকেও অংশ নিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, শুধু চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) তালেবানের রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ করেছে।
২০০৩ সালে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল রাশিয়া। এখন দুই দশকের বেশি সময় পর এসে তালিকা থেকে তালেবানের নাম বাদ দেওয়ার এ উদ্যোগ কাবুলের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।