বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। সেখানে পানিতে বুদবুদ উঠতে দেখা যায়
বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। সেখানে পানিতে বুদবুদ উঠতে দেখা যায়

নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে হামলার সন্দেহভাজন ব্যক্তি পলাতক

বাল্টিক সাগরের নিচে ২০২২ সালে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে হামলার ঘটনায় বার্লিনের জারি করা একটি ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়েছিল পোল্যান্ড। কিন্তু ভলোদিমির জেড নামের সন্দেহভাজন ইউক্রেনের সেই নাগরিক এরই মধ্যে পোল্যান্ড ছেড়ে চলে গেছেন।

পোলিশ প্রসিকিউটররা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তথ্যভান্ডারে জার্মানি তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

বাল্টিক সাগরের নিচে গ্যাস পরিবহনকারী কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের নর্ড স্ট্রিম–১ ও ২ পাইপলাইন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একের পর এক বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর সাত মাস পর এ ঘটনা ঘটে।

জার্মান গণমাধ্যম এসজেড, ডি সাইট এবং এআরডি জার্মান তদন্তকারীদের সূত্র উল্লেখ করে জানিয়েছে, ভলোদিমির জেড ইউক্রেনীয় ডুবুরি দলের সদস্য ছিলেন। এই দলের সদস্যরাই পানির নিচের পাইপলাইনে বিস্ফোরক বসিয়েছিলেন।

পোলান্ডের ন্যাশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের মুখপাত্র আনা আদামিয়াক জানিয়েছেন, জার্মান কর্তৃপক্ষ জুন মাসে ওয়ারশ জেলা প্রসিকিউটর অফিসে ভলোদিমির জেডের জন্য একটি ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠিয়েছিল।

রয়টার্সের প্রশ্নের উত্তরে দেওয়া এক ফিরতি ই–মেইলে আদামিয়াক অবশ্য ভলোদিমিরকে গ্রেপ্তার করতে না পারার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভলোদিমির জেডকে আটক করা হয়নি। কারণ, জুলাইয়ের শুরুতে তিনি পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করে গেছেন।

আনা আদামিয়াক বলেন, তাঁর (ভলোদিমির জেড) পক্ষে পোলিশ-ইউক্রেনীয় সীমান্ত অবাধে পারাপার সম্ভব হয়েছিল। কারণ, জার্মান কর্তৃপক্ষ তাঁর নাম ওয়ান্টেড ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি। ফলে পোলিশ বর্ডার গার্ডের কাছে ভলোদিমির জেডকে আটক করার কোনো তথ্য ও ভিত্তি ছিল না।

পোল্যান্ডের আইনে অপরাধের তদন্ত চলাকালে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পুরো নাম প্রকাশের অনুমতি নেই।

জার্মানি জানিয়েছে, নর্ড স্ট্রিমে হামলার তদন্তের ফলে ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো অবনতি ঘটেনি।

জার্মান সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ ঘটনার ফলে রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সমর্থনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন চ্যান্সেলর (ওলাফ শলৎজ)।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে অনুরোধে সাড়া দেয়নি ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জার্মান ফেডারেল প্রসিকিউটরের কার্যালয়ও মন্তব্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।