বার্লিনে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ

জার্মানির বার্লিনে ইহুদিদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় পুলিশের তৎপরতা
ছবি: রয়টার্স

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ফিলিস্তিনের গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের পক্ষে সমাবেশ করার এক দিনের মাথায় ইসরায়েলের সমর্থনে সমাবেশ হয়েছে। রোববার সেখানকার ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটে ইসরায়েলের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

এর আগে শনিবার বার্লিনের সোনেনএ্যলি সড়কে ফিলিস্তিন ও হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেন একদল মানুষ। তাঁরা নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণও করেন।

বার্লিনের সোনেনএ্যলি সড়কে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ

ইসরায়েলের পক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রায় দুই হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বার্লিনের মেয়র কাই ওয়েগনার হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলের ওপর এই হামলা কখনোই ন্যায্য হতে পারে না। এই হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে।’

সোনেনএ্যলি সড়কে ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল ‘সামিদুন’ গোষ্ঠীর সমর্থকদের সমাবেশের নিন্দা জানান মেয়র। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বার্লিনের রাস্তায় কারও কোনো স্থান নেই।

মেয়র কাই ওয়েগনার আরও বলেন, ‘আমরা এই শহরে ইহুদিদের নিরাপত্তা ও ইহুদি প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করব।’

সমাবেশে বার্লিন ও ব্র্যান্ডেনবার্গের জার্মান-ইসরায়েলি সোসাইটির চেয়ারম্যান ইয়োখেন ফেইল্ক বলেন, ‘এখন ইসরায়েলে সঙ্গে সংহতির সময়। হামাসের হামলা ইসরায়েলে বসবাসকারী প্রত্যেক জাতি ও ধর্মের বিরুদ্ধে। এটি নিছক সন্ত্রাসী হামলা।’

বার্লিনের সামাজিক গণতান্ত্রিক দলের নেত্রী ফ্রানজিস্কা গিফি ও গ্রিন পার্টির নেতা বেটিনা জারাশ ইসরায়েলের সমর্থনে সমাবেশে বক্তব্য দেন। অন্যান্যদের মধ্যে জার্মানিতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন প্রসারও সমাবেশে বক্তৃতা করেন।

প্রসঙ্গত, বার্লিনে দেড় লাখের বেশি আরব বংশোদ্ভূত অভিবাসী বসবাস করেন। সেখানকার নিউকোলেন এলাকায় বসবাসরত তাঁদের বেশির ভাগ এসেছেন সিরিয়া ও লেবানন থেকে।