মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের মস্কোর সাবেক ব্যুরোপ্রধান জিল ডগার্টি বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করেন না।
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের বিদ্রোহ প্রসঙ্গে ডগার্টি গতকাল শনিবার সিএনএনের অ্যান্ডারসন কুপারকে এ কথা বলেন।
প্রিগোশিন বিদ্রোহ ঘোষণা করে গতকাল তাঁর বাহিনী নিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রা করেন। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় তিনি এই যাত্রা বন্ধ করেন।
মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন এখন বেলারুশ যাবেন। বিদ্রোহের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে যেসব ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করা হবে।
সিএনএনের মস্কোর সাবেক ব্যুরোপ্রধান বলেন, ক্রেমলিনের ভাষ্যমতে, প্রিগোশিনকে বেলারুশে যেতে বলেছেন পুতিন। তবে ভাগনারপ্রধান বিশ্বাসঘাতকই রয়ে গেছেন।
জিল ডগার্টি বলেন, ‘আমি মনে করি, পুতিন কখনোই এটি (বিশ্বাসঘাতকতা) ক্ষমা করবেন না।’
জিল ডগার্টির মতে, পুতিনের জন্য প্রিগোশিন একটি হুমকি, তা তিনি যেখানেই থাকুন না কেন।
প্রিগোশিনের বিদ্রোহের জেরে পুতিন গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, যা কিছু ঘটছে, তা বিশ্বাসঘাতকতা। এটি রুশ জনগণের পিঠে ছুরি চালানোর শামিল। সশস্ত্র বিদ্রোহের পেছনে থাকা ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি।
জিল ডগার্টি বলেন, রাশিয়ার সড়কে যে অশান্তি-বিশৃঙ্খলা গতকাল দেখা গিয়েছিল, তার জেরে পুতিনকে শক্তিশালী নেতার মতো দেখায়নি। পুতিনকে সত্যিই দুর্বল দেখাচ্ছে। সাধারণ রাশিয়ানরা কেন অভ্যুত্থান ঘটাতে চাওয়া লোকজনকে দেখে রাস্তায় উল্লাস করছেন? তার মানে হয়তো, তাঁরা তাঁদের সমর্থন করেন। সে যা-ই হোক না কেন, এই বিষয় পুতিনের জন্য সত্যিই খারাপ খবর।