খালে ‘ফ্লুরোসেন্ট গ্রিন’ রঙের পানি দেখে শহরের বাসিন্দারা ধাঁধায় পড়ে যান। এ ঘটনায় জনমনে উঠেছে নানা গুঞ্জন।
স্বাভাবিক নিয়মেই গত রোববার সকালে ঘুম ভাঙে ইতালির ভেনিস শহরের বাসিন্দাদের। তবে ঘুম ভাঙার পর সকালটি অন্য দিনগুলোর মতো স্বাভাবিক ছিল না। কারণ, শহরের কেন্দ্রীয় জলপথটির পানির রং সবুজ দেখাচ্ছিল।
‘ফ্লুরোসেন্ট গ্রিন’ রঙের পানি দেখে শহরের বাসিন্দারা ধাঁধায় পড়ে যান। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
বিখ্যাত রিয়ালতো ব্রিজের আশপাশের পানির রং পরিবর্তনের এ ঘটনায় গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে। পরিবেশকর্মীরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে রঞ্জক পদার্থ ছড়িয়ে দিতে পারেন, এমন তত্ত্বও ছড়িয়ে পড়েছে।
ইতালির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্থানীয় পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখছে। সপ্তাহান্তে সংঘটিত ভলগালোঙ্গা রেগাটার ঘটনার সঙ্গে ভেনিসের ঘটনাটির কোনো যোগসূত্র আছে কি না, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে।
ইতালির লা রিপাবলিকা পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিজওনাল এজেন্সি ফর এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশনের মাউরিজিও ভেস্কো বলেছেন, প্রাথমিক বিশ্লেষণে ইঙ্গিত মিলছে, সম্ভবত ফ্লুরোসেন্ট ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে খালের পানি এমন রং ধারণ করেছে।
সাধারণত পানির গতিপথ চিহ্নিত করতে ফ্লুরোসেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে এই পদার্থ ক্ষতিকর নয়। এটি অস্বাভাবিক কোনো উপাদান নয়।
অবশ্য ভেস্কো বলছেন, সাধারণত এসব ক্ষেত্রে এক চামচ রঞ্জক পাউডার ব্যবহার করা হয়। যদিও খালের যে পরিমাণ পানি সবুজ দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, অন্তত এক কেজি রঞ্জক ছড়িয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
ভেস্কো বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে এটি নিছক একটি ঘটনা...এবং কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই খালে এক কেজি ফ্লুরোসেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন, ভেনিসের ঘটনাটি ১৯৬৮ সালেরই একটি ঘটনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই বছর আর্জেন্টাইন শিল্পী নিকোলাস গার্সিয়া উরিবুরু পরিবেশগত বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে গ্র্যান্ড ক্যানেলের পানি রঞ্জক ছড়িয়ে দিয়ে সবুজ করে দেন।