ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেনের ওপর প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছেন হামলাকারী। হামলার সময় ফোয়ারার পাশে বসে থাকা ঘটনার দুজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, হামলাকারী কেমন ছিলেন ও কীভাবে হামলা চালিয়েছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের একটি রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী হামলার শিকার হয়েছেন।
হামলার বিষয়ে ডেনমার্কের সংবাদপত্র বিটির সঙ্গে কথা বলেন দুজন প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁরা হলেন মেরি আদ্রিয়ান ও আন্না রাভন।
ওই দুজন সংবাদমাধ্যমকে জানান, হামলাকারী উল্টো দিক থেকে আসেন। এরপর মিতে ফ্রেডিরিকসেনের কাঁধে আঘাত করেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওই ব্যক্তি মিতে ফ্রেডিরিকসেনকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তিনি পাশের একটি ক্যাফেতে গিয়ে বসেন।
তাঁরা আরও জানান, হামলাকারী ব্যক্তি বেশ লম্বা ও হালকা গড়নের। হামলার পর ওই ব্যক্তি দ্রুত সেখান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি সফল হননি। দ্রুত নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে মাটিতে ফেলে দেন। আটক করেন।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ‘হামলার’ সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনের প্রাক্কালে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটল।
বিবিসির প্রতিবেদনে ডেনমার্কের টিভি২-এর বরাতে জানানো হয়েছে, হামলার শিকার হওয়ার আগে মিতে ফ্রেডিরিকসেন ইইউ নির্বাচনে তাঁর দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ক্রিস্টেল শ্যাল্ডেমোজের সঙ্গে এক নির্বাচনী কাজে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে।
কেন প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেনের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা তাৎক্ষণিকভাবে এর চেয়ে বেশি কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কোপেনহেগেন পুলিশ এক এক্স বার্তায় বলেছে, ‘একজন হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।’
২০১৯ সালে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন মিতে ফ্রেডিরিকসেন। দেশটির সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী তিনি।
গত ১৫ মে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর ওপরও প্রকাশ্যে গুলির ঘটনা ঘটেছিল। গুরুতর আহত অবস্থা থেকে তিনি বেঁচে ফিরলেও তাঁকে একাধিক অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।