রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি

কৌশলগত ভুহলেদার শহর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া

ইউক্রেনের আরেকটি শহর দখলে নিয়েছে রাশিয়া। বুধবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভুহলেদারের রুশ বাহিনী পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

ভুহলেদারের নিয়ন্ত্রণ হারানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে ইউক্রেনও। বুধবার দেশটির সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ভুহলেদার শহর থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। কিয়েভ জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর সদস্য ও সামরিক সরঞ্জামের সুরক্ষার কথা ভেবেই সেনাদের শহরটি ছেড়ে চলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শত্রুপক্ষের তৎপরতার কারণে শহরটি ঘিরে ফেলার মতো একটি পরিস্থিতি তৈরি হলে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার দোনেৎস্কের গভর্নর বলেছিলেন, রাশিয়ার সেনারা ভুহলেদারের কাছাকাছি চলে এসেছেন। এর এক দিন পরই শহরটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিল ইউক্রেনীয় বাহিনী।

ইউক্রেনের শিল্পসমৃদ্ধ দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি শহর ভুহলেদার। ২০২২ সালে ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলকে রাশিয়া নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয়, তার একটি দোনেৎস্ক। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ শহরের দখল নিতে সাম্প্রতিক সময়ে হামলা জোরদার করেছিল রুশ বাহিনী।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সামরিক আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এর পর থেকে একাধিকবার রুশ বাহিনী ভুহলেদারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে এত দিন শহরটির দখলে নিতে পারেনি।
যুদ্ধে উভয় পক্ষের জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল ভুহলেদার। পুরো দোনেৎস্ক অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য এই শহর দখলে নেওয়া রাশিয়ার জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

ভুহলেদার শহরের নিয়ন্ত্রণ আরেকটি কারণেও রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শহরটির খুব কাছেই রয়েছে রেলপথ। এই রেলপথ ক্রিমিয়া উপদ্বীপ পর্যন্ত গেছে। শহরটির নিয়ন্ত্রণ থাকলে রেলপথে ক্রিমিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হবে। এতে রাশিয়ার জন্য ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানো সহজ হবে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলে নেয় রাশিয়া।