পুতিন স্বাক্ষর করলেই ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার বিল রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষেও অনুমোদন পেয়েছে। ইতিমধ্যে নিম্নকক্ষে বিলটি পাস হওয়ায় এখন শুধু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাক্ষরের অপেক্ষা। সাত মাসের লড়াইয়ে দখল করা এসব ইউক্রেনীয় অঞ্চল এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে। খবর রয়টার্সের।

আজ মঙ্গলবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার অনুমোদন দেয়। এর আগে গতকাল সোমবার একইভাবে নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমায় এটি অনুমোদন পায়।

এখন আনুষ্ঠানিকভাবে এই অঞ্চলগুলো রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে এসব নথি ক্রেমলিনে পুতিনের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হবে। এই চার অঞ্চল ইউক্রেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত।

ইউক্রেন থেকে দখল করা এসব অঞ্চলে গণভোট আয়োজনের পর নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেয় রাশিয়া। পশ্চিমা সরকারগুলো ও কিয়েভ বলেছে, এই ভোট আয়োজন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এই ভোট ছিল জোরপূর্বক এবং এতে জনমত প্রতিফলিত হয়নি।

রাশিয়ার পার্লামেন্টে অনুমোদন দেওয়া হলেও ক্রেমলিন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন অঞ্চলগুলোর সীমানা চিহ্নিত করেনি। এসব অঞ্চলের বড় অংশই এখনো ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। একইভাবে একীভূত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও রাশিয়া তার নিজস্ব আন্তর্জাতিক সীমানা নতুন করে চিহ্নিত করবে কি না, সেটাও স্পষ্ট নয়।

গতকাল ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলের সীমানা নিয়ে আলোচনা চলছে।

এই চার অঞ্চলের কোনোটিতে রাশিয়ার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই। গতকালের লড়াইয়েও আরও জয় পেয়েছে ইউক্রেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন অঞ্চলের আগের ফ্রন্টলাইনের চেয়ে ইউক্রেন আরও বহু কিলোমিটার ভূখণ্ড উদ্ধার করেছে। সেখানে রাশিয়ার নিয়োগ দেওয়া প্রশাসনের প্রতিবেদনেই এসব কথা বলা হয়েছে।

একইভাবে রুশ বাহিনী দোনেৎস্কের কেবল ৬০ শতাংশ আর জাপোরিঝঝিয়ার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। জুলাইতে লুহানস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছিল রুশ বাহিনী। কিন্তু সম্প্রতি ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রযাত্রার ফলে সেখানকার বেশকিছু ফ্রন্টলাইনেও তাদের পিছু হটতে হয়েছে।