চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছয় বছরের জন্য দেশটির নেতৃত্ব নিজের হাতে রাখা নিশ্চিত করতে যাচ্ছেন। ১৫ থেকে ১৭ মার্চ ভোট গ্রহণ হবে।
১৯৯৯ সালের শেষ দিন থেকে তিনি কখনো দেশটির প্রেসিডেন্ট, কখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আছেন। পুতিন সব ধরনের বিরোধিতা ও ভিন্নমত বাতিল করে এমন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছেন, যে তাঁর বিজয় নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।
ভোটটি এমন সময় হতে যাচ্ছে, যখন সাবেক কেজিবির এই এজেন্টের আত্মবিশ্বাস প্রবল। এবার অবশ্য পুতিনের সঙ্গে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বলা হচ্ছে ক্রেমলিন-অনুমোদিত প্রার্থীরা নির্বাচনকে প্রতিযোগিতার একটি রূপ দিতে এই প্রার্থীদের অনুমোদন দিয়েছে।
অন্যদিকে পুতিনবিরোধী রাজনীতিবিদ বোরিস নাদেজদিনকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ, তিনি শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে ডাক দিয়েছিলেন, আর এতে হাজার হাজার রাশিয়ান সমর্থন জানান।
এদিকে সাম্প্রতিক গত কয়েক মাসে ইউক্রেনে রুশ সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে বেশ সাফল্য অর্জন করেছেন।
যদিও পুতিনকে পশ্চিমারা পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন একজন রাষ্ট্রপ্রধান মনে করে, তারপরও ক্রেমলিন বলেছে আসন্ন ভোটের মধ্য দিয়ে রুশরা প্রমাণ করবেন যে তাঁরা পুতিন ও তাঁর আগ্রাসী মনোভাবের পেছনে কতটা একতাবদ্ধ।
গত বছর পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, এই মুহূর্তে তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই এবং থাকতেও পারে না।’
ক্যাথাম হাউসের ফেলো নিকোলাই পেতরোভ এএফপিকে বলেন, ক্রেমলিনের জন্য এ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘ সামরিক আগ্রাসন নিয়ে পুতিনের প্রতি রুশদের যে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে, সেটা দেখানো প্রয়োজন।’
ক্রেমলিনের লক্ষ্য হলো আগের চারটি নির্বাচনের তুলনায় এবার পুতিনের পক্ষে সর্বোচ্চ ভোট নিশ্চিত করা।
২০১৮ সালের নির্বাচনী ফলে দেখা যায়, পুতিন ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে বলার মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলেও সেই নির্বাচনে জোর করে ব্যালট বাক্স ভর্তি, জালিয়াতি এবং জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার ব্যাপক অভিযোগ উঠেছিল।