পর্বতারোহণ সব সময়ই দুঃসাহসিক কাজ। এতে জীবনহানির ঝুঁকি পর্যন্ত থাকে। আর যদি পর্বতশৃঙ্গ থেকে স্কি-জাম্প দিতে হয়, তাহলে ঝুঁকি আরও বাড়ে বৈকি। তবে ‘সব ভয়’কে জয় করে হিমালয়ের মেরা পর্বতশৃঙ্গ থেকে স্কি-জাম্প করে নতুন গিনেস রেকর্ড গড়েছেন জশুয়া ব্রেগমেন। ১৮ হাজার ৭৫৩ ফুট উঁচু পর্বতশৃঙ্গ থেকে স্কি-জাম্প করে পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি।
৩৪ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক জশুয়া ভেঙেছেন ফ্রান্সের ম্যাথিয়াস জিরোর রেকর্ড। ম্যাথিয়াস ২০১৯ সালে ১৪ হাজার ৩০১ ফুট উঁচু থেকে স্কি করে রেকর্ড গড়েছিলেন। গত শুক্রবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে নতুন রেকর্ডের ঘোষণা দেওয়া হয়।
পর্বতারোহণ, ঝাঁপ দেওয়ার জায়গায় স্কি করে নেওয়া, একেবারে উঁচু জায়গায় ক্যাম্প বানিয়ে অবস্থান করা এবং স্কি করার পথে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করা।
পর্বতশৃঙ্গ থেকে এভাবে স্কি করাটা ‘স্কি-বেস জাম্পিং’ নামে পরিচিত। স্কি-বেস জাম্পিং মূলত স্কি এবং বেস জাম্পিং খেলার সমন্বিত রূপ।
নতুন এই রেকর্ড গড়তে নিজের দলের সঙ্গে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নেন জশুয়া। এর মধ্যে রয়েছে পর্বতারোহণ, ঝাঁপ দেওয়ার জায়গায় স্কি করে নেওয়া, একেবারে উঁচু জায়গায় ক্যাম্প বানিয়ে অবস্থান করা এবং স্কি করার পথে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করা।
নেপালে দাতব্যকাজের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং মানব পাচারের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে জশুয়ার দল এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। দেশটিতে প্রতিবছর কয়েক হাজার শিশু পাচারের শিকার হয়ে থাকে।
আমরা সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছি। অক্সিজেন–স্বল্পতা, মাথাব্যথা এবং প্রায় ৬ হাজার মিটার উঁচুতে ঘুমানো—সব মিলিয়ে শরীরের অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি আমাদের একজন তো বলেই ফেললেন, তাঁর এভারেস্টে ওঠার চেয়েও এটা কঠিন ছিল।জশুয়া ব্রেগমেন
অবশ্য ঝাঁপ দেওয়ার প্রথম জায়গায় থাকা পাথুরে ঢালের কারণে নতুন রেকর্ড গড়ার চেষ্টা ভেস্তে যেতে বসেছিল। শুরুতে এ নিয়ে সংশয়ে পড়ে গেলে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক একটি উপযুক্ত ঢালু জায়গা খুঁজে নেন তাঁরা।
অবশ্য রেকর্ড গড়ার কাজটি যে কঠিন ছিল, জানালেন জশুয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছি। অক্সিজেন–স্বল্পতা, মাথাব্যথা এবং প্রায় ৬ হাজার মিটার উঁচুতে ঘুমানো—সব মিলিয়ে শরীরের অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি আমাদের একজন তো বলেই ফেললেন, তাঁর এভারেস্টে ওঠার চেয়েও এটা কঠিন ছিল।’