যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস সম্প্রতি গোপনে ইউক্রেন সফর করে গেছেন। এ সময় তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গতকাল শুক্রবার মার্কিন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সফরের সময় বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি। এমন সময় সিআইএপ্রধান এ সফরে যান, যখন ইউক্রেনের বাহিনীগুলো দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালাচ্ছিল। কয়েক সপ্তাহের গুঞ্জনের পর গত মাসের শুরুর দিকে এ হামলা শুরু করে কিয়েভ।
ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষায় ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করার যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার এই সফরে পুনর্ব্যক্ত করেন বার্নস।
সিআইএপ্রধানের এই সফর নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চল ফিরে পাওয়া এবং বছরের শেষ নাগাদ যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরুর পরিকল্পনার বিষয়টি বার্নসের সঙ্গে বৈঠকে তুলেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
জুনে এই সফর হয়েছে বলে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়। ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর বার্নস নিয়মিত এ ধরনের সফর করে থাকেন। এক বছরের বেশি সময় আগে এই আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া।
গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ভালেরি জালুঝনি বলেছেন, আধুনিক যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে কামানের গোলাবারুদ—এ ধরনের পর্যাপ্ত অস্ত্রের অভাবে ইউক্রেনের পাল্টা হামলার পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জালুঝনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিশ্রুত অস্ত্র সরবরাহে ধীরগতিতে তিনি হতাশ।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর কেউ কেউ যখন রাশিয়ান দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাল্টা হামলার ধীর সূচনা ও অগ্রগতি সম্পর্কে অভিযোগ করে, তখন এটা ‘আমাকে বিরক্ত করে’।
জালুঝনি বলেন, তাঁর পশ্চিমা সমর্থকেরা আকাশপথের যুদ্ধে নিজেদের আধিপত্য না থাকলে হামলাই শুরু করত না। অথচ এখনো মিত্রদের প্রতিশ্রুত এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের জন্য ইউক্রেনকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
অস্ত্র সরবরাহে সিদ্ধান্তহীনতার সমালোচনা করে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেন, এটি এমন কোনো প্রদর্শনী নয়, যা পুরো বিশ্ব দেখছে এবং যার ওপর বাজি ধরছে বা অন্য কিছু। প্রতিদিন প্রতিটি মিটার ভূখণ্ডের জন্য রক্ত দিতে হয়।