ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ২৫০ কোটি ডলারের নিরাপত্তাসহায়তা তহবিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা এই তহবিলের আওতায় মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন প্রথমবারের মতো ইউক্রেনকে স্ট্রেকার সাঁজোয়াযান দিচ্ছে। এ ছাড়া দেশটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এবারের বসন্তে আরও কয়েকটি ব্র্যাডলি যুদ্ধযান পাবে।
জার্মানিতে বৈঠকে বসছে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা। এই বৈঠকে দেশটিকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বৈঠকের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ২৫০ কোটি ডলারের এই নিরাপত্তাসহায়তা তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। এটা ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা ইউক্রেনের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সহায়তা তহবিল। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৬৭০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া বিষয়ে বিশ্বকে এক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে আমরা আমাদের মিত্রদের মধ্যে অভাবনীয় সংহতি দেখেছি। এ জন্য ৫০টির বেশি দেশকে সাধুবাদ জানাই। এসব দেশ ইউক্রেনের সমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য এগিয়ে এসেছে।’
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘রাশিয়া একাই ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করে দিতে পারে। এমনটা না হওয়া পর্যন্ত আমরা ইউক্রেনের পাশে থাকব। যত দিন প্রয়োজন, ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে যাব।’
এবারের সহায়তা তহবিলের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৯০টি স্ট্রেকার সাঁজোয়াযান ও আরও ৫৯টি ব্র্যাডলি যুদ্ধযান পাবে ইউক্রেন। এর আগে অন্য একটি সহায়তা তহবিলের আওতায় ইউক্রেনকে ৫০টি ব্র্যাডলি যুদ্ধযান দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। নতুন তহবিলের আওতায় হিমার্স রকেট ব্যবস্থার জন্য গোলাবারুদ দেবে ওয়াশিংটন। এসব অস্ত্র–সরঞ্জাম চলমান যুদ্ধে রুশবাহিনীকে প্রতিরোধ করতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর শক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
এর আগে ৯টি ইউরোপীয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা ইউক্রেনের জন্য ৬০০ ব্রিমস্টোন ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে। ডেনমার্ক ফ্রান্সের নির্মিত ১৯টি সিজার হুইটজার এবং সুইডেন তাদের আর্চার কামানব্যবস্থা ইউক্রেনে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নতুন করে ৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার সমপরিমাণের অস্ত্রসহায়তার ঘোষণা দিয়েছে ফিনল্যান্ড। তবে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বারবার ট্যাংক চাইছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর মতে, ট্যাংক না পেলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যেতে পারে। ইউক্রেনকে লেপার্ড–২ ট্যাংক দেওয়ার বিষয়ে পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ঘোষণা আসেনি। যদিও ইউক্রেনকে চ্যালেঞ্জার–২ অত্যাধুনিক ট্যাংক দিতে সম্মত হয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।