রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে মঙ্গোলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন। আগামী সপ্তাহে পুতিনের মঙ্গোলিয়া সফরকে সামনে রেখে এ আহ্বান জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর প্রথমবারের মতো আইসিসিভুক্ত কোনো দেশে যাচ্ছেন পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্টের নামে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। অভিযোগে বলা বলেছে, যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়া ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন পুতিন।
পুতিনের আসন্ন মঙ্গোলিয়া সফরের বিষয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা আশা করছে, পুতিন যে একজন যুদ্ধাপরাধী, সে বিষয়ে অবগত আছে মঙ্গোলিয়া। দেশটির প্রশাসনের প্রতি রুশ নেতাকে গ্রেপ্তার ও নেদারল্যান্ডসের দি হেগে আইসিসির সদর দপ্তরে কৌঁসুলিদের কাছে তাঁকে হস্তান্তরের দাবি তোলা হয়েছে।
আইসিসির একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, সদস্যদেশ হিসেবে আইসিসির বিধান মানতে মঙ্গোলিয়ার দায়বদ্ধতা রয়েছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতেই হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর দুই বছরের বেশি সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের শিশুদের অবৈধভাবে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।
যে চুক্তির মাধ্যমে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা রোম চুক্তি নামে পরিচিত। আইসিসির মুখপাত্র ফাদি এল-আবদুল্লাহ বলেন, রোম চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গোলিয়াসহ সদস্যদেশগুলোর আইসিসিকে সহযোগিতা করার দায়বদ্ধতা রয়েছে।
তবে রোম চুক্তিতে এটাও বলা আছে যে কিছু ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের দায়বদ্ধতা থেকে সদস্যদেশকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তির বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন কিংবা তৃতীয় কোনো দেশের ব্যক্তি ও সম্পদের কূটনীতিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের আশঙ্কা থাকলে এ নিয়ম বলবৎ হয়।
আগামী মঙ্গলবার মঙ্গোলিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের। এ বিষয়ে ক্রেমলিন বলছে, এ সফর নিয়ে তারা মোটেও উদ্বিগ্ন নয়। এ বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘মঙ্গোলিয়ার অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।’