আয়ারল্যান্ডে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দিচ্ছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে ইসরায়েল এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছে।
দূতাবাস বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) করা একটি পিটিশনে ডাবলিনের সমর্থন দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছে ইসরায়েল। এই পিটিশনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার বলেছেন, আয়ারল্যান্ড সরকারের কট্টর ইসরায়েলবিরোধী নীতির জেরে তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে একটি পিটিশনে গত সপ্তাহে সমর্থন দেয় আয়ারল্যান্ড সরকার।
দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার ইসরায়েলি সিদ্ধান্তকে খুবই দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে সিমন হ্যারিস লিখেছেন, এটা ইসরায়েলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের নেওয়া খুবই দুঃখজনক একটি সিদ্ধান্ত। আয়ারল্যান্ডকে ইসরায়েলবিরোধী বলে চিহ্নিত করার বিষয়টিকে তিনি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছেন। আয়ারল্যান্ড শান্তির পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে, আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংকট নিরসনে আয়ারল্যান্ড দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান চায় বলে উল্লেখ করেন সিমন হ্যারিস। তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড একটি দ্বিরাষ্ট্র সমাধান চায়। আয়ারল্যান্ড চায়, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জনগণ যেন শান্তিতে, নিরাপদে বসবাস করতে পারেন। আয়ারল্যান্ড সব সময় মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে কথা বলে এসেছে। কোনো কিছুই এ থেকে আয়ারল্যান্ডকে বিচ্যুত করতে পারবে না।
মিসর, স্পেন, মেক্সিকোসহ আরও কয়েকটি দেশ আইসিজেতে করা পিটিশনে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে ইসরায়েল এই পদক্ষেপ নেয়নি।