ইউক্রেনে অঘোষিত সফরে গিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কিয়েভ সফরে গিয়ে তিনি কাখোভকা বাঁধ গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে দেশটির সমালোচনা করেছেন। ওই বাঁধ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর খেরসন অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে ট্রুডোর সফরের পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল শনিবার পাল্টা হামলা চলছে বলে জানান। কিয়েভে ট্রুডোর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, পাল্টা হামলা ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে ইউক্রেন। এ সময় এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলবেন না বলেও জানান তিনি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, কিয়েভের পাল্টা হামলা ব্যর্থ হচ্ছে। তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ‘পাল্টা হামলা নিয়ে পুতিন যা বলেছেন, তা কৌতূহলোদ্দীপক। রাশিয়া সব সময়ই যে এমনটা ভাবে, এর গুরুত্ব আছে। আমার মতে, তাঁদের আর বেশি দিন নেই।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে তাঁর প্রতিদিন যোগাযোগ হচ্ছে। সেনাবাহিনীর প্রধান ভালেরি জালুঝনির সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পুতিনকে বলে দেন, এখন সবাই ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কিয়েভ সফরে এলেন ট্রুডো। তাঁর এই সফর অঘোষিত। ৫১ বছরের ট্রুডো ও ৪৫ বছরের জেলেনস্কি একে অন্যকে আলিঙ্গন করেন। তাঁরা একে অন্যের ডাক নাম ধরে সম্বোধন করেন।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই কিয়েভের পাশে রয়েছে কানাডা। ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে দেশটি। পাঠিয়েছে ৩৬ হাজারের বেশি প্রশিক্ষিত সেনা।
কাখোভকা বাঁধ ধ্বংস নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়া একে অন্যকে দায়ী করেছে। বাঁধ ধ্বংসের পর সৃষ্ট বন্যায় সহায়তার জন্য ট্রুডো এক কোটি কানাডীয় ডলার তহবিল বরাদ্দ করেছেন।
কানাডীয় নেতা ট্রুডো আরও বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য তাঁর দেশ ৫০ কোটি ডলার তহবিল বরাদ্দ দেবে। ইউক্রেনের যুদ্ধবিমানের পাইলটদের কানাডা প্রশিক্ষণ দেবে বলেও জানান ট্রুডো।