ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (বাঁয়ে) ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ইসরায়েলের মিটজপে র‍্যামনের কাছে একটি সেনাঘাঁটিতে, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (বাঁয়ে) ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ইসরায়েলের মিটজপে র‍্যামনের কাছে একটি সেনাঘাঁটিতে, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আইসিসির

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও একই ধরনের পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ইসরায়েল ও হামাস উভয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আইসিসি আজ বৃহস্পতিবার এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এর আগে গত মে মাসে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট ও দেইফের পাশাপাশি হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও গাজার হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান।

সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করিম খান বলেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার ঘটনায় সিনওয়ার, হানিয়া ও দেইফের বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, হত্যা, লোকজন জিম্মি হিসেবে নেওয়া, ধর্ষণ এবং বন্দীদের যৌন নিপীড়নের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

আইসিসির কৌঁসুলি আরও বলেন, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করা, মানবিক ত্রাণ সরবরাহ করতে না দেওয়াসহ ক্ষুধাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার, যুদ্ধে বেসামরিক লোকজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা।

গত জুলাই মাসের শেষ দিকে ইরানে এক হামলায় নিহত হন তৎকালীন হামাসপ্রধান হানিয়া। একই মাসে গাজায় বিমান হামলায় দেইফকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে ইসরায়েল। হানিয়ার পর হামাসের প্রধান হন সিনওয়ার। গত অক্টোবরে মাঝামাঝি গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হন সিনওয়ার।

‘যুদ্ধ বন্ধ না হলে জিম্মি মুক্তি নয়’

এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের গাজার ভারপ্রাপ্ত প্রধান খলিল আল-হায়া বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের জিম্মি মুক্তি কিংবা বন্দিবিনিময় চুক্তি হবে না। গত বুধবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে তাঁকে এ কথা বলতে শোনা যায়।

সংগঠনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আল-আকসা টেলিভিশনে হামাসের এই নেতা বলেন, যদি আগ্রাসন বন্ধ না হয়, তাহলে প্রতিরোধ লড়াই কেন বন্ধ হবে আর বিশেষ করে হামাস কেন জিম্মিদের ফেরত দেবে? তিনি বলেন, যুদ্ধ যখন অব্যাহত আছে, তখন কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এমনকি কোনো পাগলও কি হাতে থাকা এমন শক্তিশালী কার্ড হাতছাড়া করবে?