ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরি নির্বাচনের লড়াইয়ে দুই প্রার্থীর একজন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) যেসব আইন এখনো যুক্তরাজ্যকে মানতে হচ্ছে, ২০২৩ সালের মধ্যে তা থেকে সরে আসবেন। খবর রয়টার্সের।
কনজারভেটিভ পার্টি নেতা অর্থাৎ যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। আগামী সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত ভোট হবে। ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির দুই লাখ সদস্য দলীয় নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ট্রাস ও সুনাকের মধ্যে একজনকে নির্বাচিত করবেন।
ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেছে (ব্রেক্সিট) যুক্তরাজ্য। তবে চুক্তি অনুযায়ী, এখনো কিছু ইইউ আইন মানতে হচ্ছে লন্ডনকে। ইউরোপের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ককে কনজারভেটিভ পার্টি বড় উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করে থাকে। কনজারভেটিভ পার্টি বৃহত্তর ইউরোপ প্রসঙ্গেও সন্দেহবাদী।
যুক্তরাজ্য ইইউ জোটে থাকবে কি না, তা নিয়ে ২০১৬ সালে দেশটিতে গণভোট হয়েছিল। ইউরোপ ছাড়ার পক্ষেই রায় দিয়েছিলেন ব্রিটিশরা। তখন ইইউতে থাকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন ট্রাস। এখন সেই অবস্থান থেকে সরে ট্রাস বরিস জনসনের মতোই ব্রেক্সিটপন্থী অবস্থান নিয়ে ইইউ আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ট্রাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইইউ আইন আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এটার পরিবর্তন প্রয়োজন। ডাউনিং স্ট্রিটে যেতে পারলে আমি সেকেলে ইইউ আইন ও কাঠামো থেকে সরে যাওয়ার সুযোগটি নেব এবং আমাদের সামনে থাকা সুযোগগুলোকে পুঁজি করে তা কাজে লাগাব।’
রয়টার্স বলছে, কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা কয়েক দফায় ভোট দিয়ে প্রার্থীর সংখ্যা দুইয়ে নামিয়ে এনেছেন। এখন কনজারভেটিভ পার্টির দুই লাখ সদস্যের ভোটে একজন নির্বাচিত হবেন। কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা ইইউ-বিরোধী হওয়ায় নিজেও একই অবস্থান নিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে চাচ্ছেন লিজ ট্রাস।