রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ

কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াই লক্ষ্য রাশিয়ার

ইউক্রেনের আরও ভেতরে এগিয়ে যাবে রুশ বাহিনী। ওদেসা বন্দরনগর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর একদিন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করবে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত মঙ্গলবার বলেন, রুশ সেনারা ইউক্রেনে তাঁদের সাফল্য বাড়াতে আরও সামনে এগোনোর চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের আভদিভকা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেন রুশ সেনারা। তাঁদের আক্রমণের মুখে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ওই শহর থেকে সেনা সরিয়ে নেয় ইউক্রেন।

রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান ডেপুটি চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ রুশ গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা কোথায় থামব? আমি জানি না। আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের সবকিছু অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নিতে হবে।’

মেদভেদেভ আরও বলেন, ‘আমরা কি কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নেব? এর উত্তর, হ্যাঁ। এটা সম্ভবত কিয়েভ হতে পারে। এখন না হলেও পরের কোনো এক সময়। এ সংঘাতে কোনো একপর্যায়ে তা হতে পারে।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর প্রথম কয়েক সপ্তাহ পরই পুতিনের সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করেন ইউক্রেনের সেনারা। বর্তমানে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের জন্য রুশ সেনা হুমকি নয়। তবে সেখানে মাঝেমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটছে এবং মেদভেদেভের মন্তব্য মস্কোর ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন।

ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর পূর্তির প্রাক্কালে ইউক্রেনের সেনাদের চেয়ে সংখ্যায় ও সমরসজ্জায় এগিয়ে গেছে রুশ সেনা। ইউক্রেনকে মার্কিন সামরিক সহায়তার বিষয়টি সেখানকার কংগ্রেস আটকে দিয়েছে।

গত বছর যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের পিছু হটাতে ব্যর্থ হয়েছেন কিয়েভের সেনারা। ইউক্রেনের বাহিনীকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে মস্কো। এর মধ্যে নতুন সেনা সমাবেশেরও চেষ্টা চালাচ্ছে কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তাঁর শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করেছেন।

মেদভেদেভ বলেন, ‘ওদেসা ঘরে ফিরছে। আমরা শহরটির ইতিহাস অনুযায়ী একে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার অপেক্ষায় আছি।’

গতকাল জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী, গত ২ বছরে ইউক্রেনের ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছেন। এ ছাড়া ৬৫ লাখ মানুষ শরণার্থী হিসেবে অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।