নরওয়ের যুবরাজ্ঞী মেটে-ম্যারিটের ছেলে মারিয়াস বোর্গ হোইবিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একটি নিষেধাজ্ঞা আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে গতকাল শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার এক বিবৃতিতে পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত ৪ আগস্টও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী হোইবি। সে সময় অসলোর একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে হোইবিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এমন নারীকে শারীরিকভাবে আঘাত করার অভিযোগে তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
নরওয়ের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তখন অ্যাপার্টমেন্টের ওই নারীর শোবার ঘরের একটি দেয়ালে গেঁথে রাখা একটি ছুরি উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
শনিবার এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, সেপ্টেম্বরের শুরুতে পুলিশ জানতে পারে, মারিয়াস বোর্গ হোইবি ওই নারীর সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছেন। ওই নারী এ ঘটনায় ভুক্তভোগী। এ পরিস্থিতিতে তাঁরা (হোইবির বিরুদ্ধে) একটি বেপরোয়া আচরণের অভিযোগ এনে প্রতিবেদন দেয় এবং হোইবির ওপর সংযত আচরণের নির্দেশ আরোপ করে।
পরবর্তীকালে পুলিশ জানতে পারে, হোইবি ওই নিষেধাজ্ঞা আদেশ ভঙ্গ করেছেন। এ অবস্থায় শুক্রবার তাঁকে ‘আবারও এমনটা করতে পারে, এমন ঝুঁকির’ কারণে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সন্দেহ করছে, আরও তিনজনের সঙ্গে হোইবি এমন বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুই নারীকে পারিবারিক নিপীড়ন ও এক ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
হোইবির আইনজীবী ওইভিন্দ ব্র্যাটলিয়েন জানান, তাঁর মক্কেল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সম্প্রচার মাধ্যম এনআরকেকে তিনি বলেন, ‘আইনজীবী হিসেবে ১৭ বছরের কর্মজীবনে এমন তুচ্ছ কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করার কথা আমি কখনো শুনিনি।’
যুবরাজ্ঞী (ক্রাউন প্রিন্সেস) মেটে-ম্যারিট ও যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) হোক্কনের বিয়ে হয় ২০০১ সালে। তবে হোইবির জন্ম ম্যারিটের বিয়ের আগেই ১৯৯৭ সালে। ম্যারিট ও হোক্কন দম্পতির রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁরা হলেন ২০ বছর বয়সী রাজকুমারী ইনগ্রিড আলেকজান্দ্রা ও ১৮ বছর বয়সী রাজকুমার সার্ভার ম্যাগনাস। এই ভাই-বোনের সঙ্গে বেড়ে ওঠেছেন হোইবি। তবে দুই ভাই-বোনের আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব থাকলেও হোইবির সেই রকম কোনো দায়িত্ব নেই।