প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিয়ের অনুষ্ঠানে জানতে পারলেন, চাকরি নেই

চাকরিজীবী মানুষ, বিশেষ করে বেসরকারি চাকরিজীবীরা জানেন, যেকোনো মুহূর্তে চাকরি চলে যেতে পারে। তাই বলে জীবনের সুখকর কোনো দিনে এমন ঘটনা ঘটে, সেটা মেনে নেওয়াটা সত্যিই কঠিন। কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে সাইপ্রাসের এক নারীর। সেদিন ছিল তাঁর বিয়ে-পরবর্তী সংবর্ধনা। চারপাশে ছিলেন প্রিয় সব মানুষ। হাসি, ঠাট্টা, মজায় জমজমাট ছিল পরিবেশ। সেই সময় তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে আসে সেই বার্তা।

ইউটিউবে ‘দ্য বেন আসকিনস শো’তে এ বিষয়ে ওই নারী বিস্তারিত কথা বলেন। তাঁর বস বিয়ে-পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের দিনেই সেই বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

এই কনে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তিনি ইউটিউবারকে বলেন, তাঁর বস ও অন্য সহকর্মীরা জানতেন, সেদিন তাঁর বিয়ে। বস তাঁর পাঠানো বার্তায় প্রথমে লেখেন, ‘আশা করছি, আপনার বিয়ের দিনটি ভালোই কেটেছে এবং এখনো আপনি একটি সুন্দর সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।’  

এরপরই লেখা ছিল, ‘আমি শুধু আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম যে দুর্ভাগ্যবশত আপনাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপনার ব্যক্তিগত ই-মেইলে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আমি সত্যি দুঃখিত। আশা করছি আপনি এগিয়ে যাবেন।’  

কীভাবে অনুষ্ঠানের মধ্যে তিনি বার্তাটি দেখেছিলেন, জানতে চাইলে এই নারী বলেন, ‘অনুষ্ঠানে মুঠোফোনটি আমার সঙ্গে ছিল না। পরে যখন বসার সুযোগ পেলাম, ভাবলাম, অনেকেই হয়তো আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। ফোনটি হাতে নিয়ে প্রথম যা নজরে পড়ল, তা হলো আমার প্রতিষ্ঠানের সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আমাকে ব্লক করার পাশাপাশি আমার নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম, এসব কী হচ্ছে।’

ওই নারী বলেন, ‘এরপই আমার প্রতিষ্ঠানের বসের বার্তা নজরে পড়ল। তখন আমার চারপাশে বন্ধুরা। আর আমি হাঁপাচ্ছিলাম। এরপর আপনি কী করবেন, ই-মেইল দেখবেন, আমিও তা করেছি।’

ওই নারীকে ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে, তিনি যে পদে আছেন, সেই পদে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা তিনি দেখাতে পারেননি। এই নারী বলেন, তাঁর সঙ্গে এমনটা হতে পারে, তিনি আগে থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত পাননি বা তাঁকে দেওয়া হয়নি। তাঁকে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরেই সরানোর পরিকল্পনা করছিল, এমন কিছু তিনি বুঝতে পারেননি।

এই নারী বলেন, তবে সম্প্রতি তাঁদের দলে নতুন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের জন্য তিনি যেদিন থেকে ছুটিতে গেছেন, সেদিন থেকে ওই নতুন কর্মী কাজে যোগ দিয়েছেন।

এই নারী বলেন, তাঁর সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যে আচরণ করেছেন, তাতে তিনি সত্যিই ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘আমার অনুপস্থিতে আমার বিষয়ে এমনটা করাকে আমি কাপুরুষোচিত আচরণ বলে মনে করি। তারা আমাকে সরাসরি বিষয়টি জানাতে পারত।’ এখন তিনি তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর বদলে চাকরি খুঁজতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।