জোটের পাঁচ শীর্ষ নেতাকে নিয়ে গতকাল বুধবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন কেমাল কিলিচদারওলু।
তুরস্কে প্রথম দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ২৮ মে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও কেমাল কিলিচদারওলুর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এদিকে এরদোয়ানকে হারাতে একজোট হয়েছে বিরোধী দলগুলো।
দুই দশক ধরে তুরস্কের ক্ষমতা এরদোয়ানের হাতে। গত রোববার অনুষ্ঠিত ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি এরদোয়ান। এমন অবস্থায় তাঁকে হারাতে জোটের পাঁচ শীর্ষ নেতাকে নিয়ে গতকাল বুধবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন কেমাল কিলিচদারওলু। এদিকে গত মঙ্গলবার এক ভিডিওতে কেমাল কিলিচদারওলুকে দেখা যায় মুষ্টিবদ্ধ হাতে তিনি চিৎকার করে বলছেন, ‘আমি এখানে আছি, আমি এখানে।’
৭৪ বছর বয়সী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা কেমাল কিলিচদারওলু একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচার চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। প্রচারণায় রান্নাঘর থেকে রেকর্ড করা চ্যাট ক্লিপগুলোতে ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন। এসব বার্তায় এরদোয়ানের করা সব মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম দফার নির্বাচনে জিততে না পেরে প্রচারণা টিমকে বাদ দিয়েছেন কিলিচদারওলু। এরদোয়ানের তীব্র বিরোধী ও ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামগলুকে এবার নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্ব দিতে চাইছেন তিনি।
আল-জাজিরা জানায়, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে যদি কিলিচদারওলু জয়ী হন, তবে বোঝা যাবে ভোটারদের একটা বড় অংশ পরিবর্তন চান। মধ্যপন্থী নেতা কিলিচদারওলু তুরস্কে ‘দৃঢ় সংসদীয় শাসনব্যবস্থা’ ফিরিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে এরদোয়ান জয়ী হলে তুরস্কের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি শাসক হিসেবে তাঁর অবস্থান বজায় থাকবে। তাঁর অধীন তুরস্কে ২০১৮ সালে গৃহীত প্রেসিডেন্টশাসিত শাসনব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। জীবনযাপনের খরচ বাড়া জনিত চাপ থেকে মানুষকে স্বস্তি দিতে এরদোয়ান সরকার জ্বালানি বিলে ভর্তুকি, অবসর ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া, সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে।