যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ বুধবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট) প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য দেশটির পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের মধ্যে ভোটাভুটি শুরু হয়েছে। এতে অংশ নেন আটজন প্রার্থী। রাতে ফলাফলে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক ৮৮ ভোট পেয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মরডেন্ট ৬৭ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ৫০ ভোট পেয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন। তবে ৩০–এর কম ভোট পেয়ে এই দৌড়ে বাদ পড়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাবি।
প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া অন্যরা হলেন পার্লামেন্ট সদস্য টম টুগেন্ডহাট, সাবেক মন্ত্রী কেমি বেডেনচ ও অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্রেভারম্যান। এই প্রাথমিক বাছাইয়ের আগে নিজ দলের ন্যূনতম ২০ জন এমপির সমর্থন না পাওয়ায় আগেই বাদ পড়েন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত দুই প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ও প্রধানমন্ত্রীর ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক বিশেষ দূত রেহমান চিশতি।
এখন টিকে যাওয়া ছয় প্রার্থীকে নিয়ে বৃহস্পতিবার আরেক দফা ভোটাভুটি হবে। এভাবেই আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুজনে নামিয়ে আনা হবে। পরে কনজারভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন, কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ও দলের নেতা। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। তত দিন প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন বরিস জনসন।
নজিরবিহীন চাপের মুখে ৭ জুলাই বরিস জনসন দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন। করোনার বিধি উপেক্ষা করে পার্টি করা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে দেশকে বের করে আনতে না পারাসহ নানা বিষয়ে তাঁর সমালোচনা রয়েছে। এদিকে যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টি বরিস জনসনের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের জন্য একটি প্রস্তাব পার্লামেন্টে পেশ করতে যাচ্ছে। ভোটে যদি সরকার পক্ষ হেরে যায়, তাহলে সাধারণ নির্বাচনের পথ খুলে যাবে দেশটিতে।
ভোটের পর বরিস সরকারের মন্ত্রী সুনাক বিবিসিকে বলেন, এই ফলাফলে তিনি খুবই ভালো বোধ করছেন।