শান্তির জন্য ইউক্রেন ও পশ্চিমারা এখনো প্রস্তুত নয় বলে মনে করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মস্কো সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার আলোচনার পর এমন মন্তব্য করেন পুতিন। গত সোমবার তিন দিনের সফরে মস্কো যান সি।
চীনা প্রেসিডেন্টের মস্কো সফরের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন দুই নেতা দুই দফায় আলোচনা করেন। তাঁরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বেইজিংয়ের দেওয়া ১২ দফা শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন।
পুতিন বলেন, চীনের দেওয়া প্রস্তাব ইউক্রেনে শান্তির ভিত্তি হতে পারে। কিয়েভ ও পশ্চিমা প্রস্তুত থাকলেই কেবল শান্তি পরিকল্পনাটি এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু রাশিয়া এখনো অপর দিক থেকে এমন প্রস্তুতি দেখছে না।
গত মাসে চীনের শান্তি প্রস্তাবটি প্রকাশ করা হয়। চীনের প্রস্তাবে কিছু সাধারণ নীতির কথা আছে। প্রস্তাবে রাশিয়াকে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার কোনো স্পষ্ট আহ্বান নেই। এতে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব ছাড়াই শান্তি আলোচনা ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান রয়েছে। ১৩ মাস ধরে চলা যুদ্ধ কীভাবে বন্ধ হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চীনের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ওয়াশিংটন বলেছে, চীনের প্রস্তাব মেনে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে তাতে রাশিয়ারই লাভ হবে। কারণ, যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে রাশিয়া সেনা জড়ো করার জন্য আরও সময় পাবে।
ইউক্রেন যেকোনো আলোচনার শর্ত হিসেবে তার ভূখণ্ড থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের ওপর জোর দিয়েছে। আর এ কাজ করতে রাশিয়া প্রস্তুত বলে মনে হয় না।
গতকাল সির সঙ্গে আলোচনার পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, চীনা শান্তি প্রস্তাবের অনেক ধারাই ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তির ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে, যদি কিয়েভ ও পশ্চিমারা তার জন্য প্রস্তুত থাকে। তবে ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের দিক থেকে এমন প্রস্তুতি এখনো দেখছে না রাশিয়া।
রুশ নেতার পাশে দাঁড়িয়ে সি বলেন, তাঁর সরকার শান্তি ও সংলাপের পক্ষে। চীন ইতিহাসের সঠিক পথে রয়েছে। তিনি আবার দাবি করেন, ইউক্রেন সংঘাতের ক্ষেত্রে তাঁর দেশের অবস্থান নিরপেক্ষ।