গত মাসের শুরুর দিকে সীমান্তবর্তী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করেছিল ইউক্রেন। সম্প্রতি সেখানে বড় ধরনের পাল্টা অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। রাশিয়াপন্থী কয়েকজন ব্লগার ও দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনপন্থী পর্যবেক্ষকেরা জানান, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের অধিকৃত অঞ্চলে ব্যাপক লড়াই চলছে। রুশ সেনারা ইউক্রেনের সেনাদের হাত থেকে সম্ভবত কিছু গ্রামও পুনরুদ্ধার করেছেন।
রাশিয়ার সেনারা স্নাগোস্টের দক্ষিণে মালায়া লোকনয়া নদীর পূর্ব দিকে ইউক্রেনের সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করেছেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, কয়েকটি গ্রামে তাঁরা ইউক্রেনের সেনাদের পরাজিত করেছেন।
তবে এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে ইউক্রেনও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
আজ বৃহস্পতিবার মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, বুধবার দিবাগত রাতে তাঁরা রাশিয়ার ছোড়া ৬৪টি ড্রোনের ৪৪টি ভূপাতিত করেছেন। একই সময়ে রুশ বাহিনী পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) জানায়, এই মুহূর্তে (কুরস্ক অঞ্চলে) রাশিয়ার পাল্টা হামলা নিয়ে কোনো ‘উপসংহার টানা যথাযথ হবে না’। থিঙ্কট্যাঙ্কটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রুশ সেনারা কুরস্ক অঞ্চলে পাল্টা হামলা শুরু করেছে। উত্তর-পূর্ব ও কুরেনেভোর দক্ষিণে ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর বেশ কিছু গ্রাম দখল করে নিয়েছে।’
এদিকে কিয়েভ সফর শেষে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন পোল্যান্ডে ফিরে এসেছেন। তাঁরা বুধবার দিবাগত রাতে কিয়েভ থেকে ট্রেনে ওঠেন। আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টায় পোল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে প্রবেশ করেন। আগের দিন বুধবার তাঁরা কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনায় হামলার বিষয়ে বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে শক্তিশালী ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস নিজেদের মধ্যে (প্রাইভেট) এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের সরকারি সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, রাশিয়ার ভেতরের লক্ষ্যবস্তুতে ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার অনুমতির বিষয়ে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আগামী শুক্রবার ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার সম্ভাবনা নেই।