বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো (বাঁয়ে) ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। চীনের বেইজিংয়ে, ১ মার্চ ২০২৩
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো (বাঁয়ে) ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। চীনের বেইজিংয়ে, ১ মার্চ ২০২৩

পোল্যান্ড সীমান্তে চীন-বেলারুশের সেনাদের যৌথ মহড়া

পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে যৌথ সেনা মহড়া শুরু করেছে বেলারুশ ও চীন। আজ সোমবার থেকে শুরু হওয়া ‘ইগল অ্যাসাল্ট’ নামের এই মহড়া চলবে ১১ দিন ধরে। এমন এক স্থানে এই যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে, যেটি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উত্তর সীমান্ত।

এই মহড়া ঘিরে কিছু ছবি প্রকাশ করেছে বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে দেখা গেছে, গত শনিবার চীনের সেনাসদস্যরা বেলারুশে পৌঁছেছেন। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মহড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন দুই দেশের সেনারা। মহড়া চলবে ৮ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত।

বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মহড়ার মধ্য দিয়ে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে। দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ও বাড়বে। এ ছাড়া সেনাদের যৌথ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে চীন ও বেলারুশের সম্পর্ক আরও উন্নয়নের একটি ভিত্তি তৈরি হবে।

এদিকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেলারুশের ব্রেস্ট এলাকায় এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এতে দুই দেশের সেনারা জিম্মি মুক্ত করার অভিযান ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। এর একটি লক্ষ্য হলো, দুই বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ ও সমন্বয়ের সক্ষমতা বাড়ানো।

সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে বেইজিং গিয়েছিলেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রজেজ দুদা। ওই সফরের পর পোল্যান্ড ও চীন সম্পর্কের প্রশংসা করে দুদা বলেছিলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট আমাকে বন্ধু বলে ডেকেছেন। এতে আমি খুবই খুশি।’

এর দুই সপ্তাহ পরই যৌথ মহড়া শুরু করল বেলারুশ ও চীন। গত শুক্রবার বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি হেড অব জেনারেল স্টাফ ভ্লাদিমির কুপ্রিয়ানইউক বলেন, এ অঞ্চলে ন্যাটোর তৎপরতার জবাব হিসেবেই এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।