প্রতিবছরের অক্টোবরের প্রথম সোমবার নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়। সেই হিসাবে কাল সোমবার শুরু হচ্ছে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণার পালা। প্রথম দিন ঘোষণা করা হবে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ীর নাম। নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
১০ অক্টোবর সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে চলতি বছরের মোট ছয়টি শাখায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। এ বছর নোবেল ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের বিজয়ীদের সঙ্গে ২০২০ ও ২০২১ সালের বিজয়ীদেরও আগামী ডিসেম্বরে সুইডেনের স্টকহোমে নোবেল সপ্তাহে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীর নাম। পরের দিন ঘোষণা করে হবে রসায়নে নোবেল বিজয়ীর নাম। এরপর যথাক্রমে ৬ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে সাহিত্যে ও ৭ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম। মাঝে শনি ও রোববার বিরতি দিয়ে আগামী সোমবার শেষদিন ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।
দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেলজয়ীদের নাম প্রকাশ করে, কিন্তু তারা এ বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানায় না। প্রায় ৫০ বছর ধরে পুরস্কার ঘোষণার আগে এই কমিটি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম-পরিচয় গোপন রেখে আসছে। কিন্তু মনোনয়নের কাজে সহায়তা করা নরওয়েজিয়ান আইনপ্রণেতারা কিছু নাম প্রকাশ করে থাকেন।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার কে পেতে পারেন, তা নিয়ে প্রতিবছরই সবার আগ্রহ থাকে। এ বছরও এমনই কিছু ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংস্থার নাম আলোচনায় এসেছে। এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা জানানো হতে পারে। এ কারণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধীদের কেউ এ পুরস্কার পেতে পারেন। বিশেষ করে ইউক্রেনে বেসামরিক লোকজনকে সাহায্যকারী স্বেচ্ছাসেবীরা এ পুরস্কার পেতে পারেন। এমনকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও দেওয়া হতে পারে নোবেল। তিনি এ বছর তালিকার ওপরের দিকেই রয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি প্রচারকারীদের কেউ। এ তালিকায় আছেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের নামও। নরওয়ের নোবেল কমিটি চাইলে এ ক্ষেত্রে আরও নতুন কোনো চমক হাজির করতে পারে।
সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তাঁর রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। প্রতিবছর চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতি—এ ছয় শাখায় নোবেল দেওয়া হয়।