করোনার শেষ দেখা যাচ্ছে: ডব্লিউএইচও

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস
ছবি: রয়টার্স

বিশ্বে করোনার নতুন নিশ্চিত সংক্রমণের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বকে এই মহামারি শেষ করার সুযোগটি কাজে লাগাতে আহ্বান জানিয়েছে। খবর এএফপির।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। পরে তা মহামারি আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। করোনায় বিশ্বে এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে ৬০ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। মারা গেছে প্রায় ৬৪ লাখ মানুষ।

২০২০ সালের মার্চের পর গত সপ্তাহে বিশ্বে করোনার সবচেয়ে কম নিশ্চিত সংক্রমণ দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।

ডব্লিউএইচও-প্রধান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহামারি শেষ করার জন্য আমরা কখনোই অধিকতর ভালো অবস্থানে ছিলাম না। আমরা এখনো সেখানে নেই। কিন্তু শেষ দেখা যাচ্ছে। তবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে বিশ্বের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’

গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘যদি আমরা এখন এই সুযোগ না নিই, তাহলে আমরা করোনার আরও ধরন, আরও মৃত্যু, আরও বাধাবিঘ্ন, আরও অনিশ্চয়তার ঝুঁকিতে থাকব।’

তবে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, করোনার সংক্রমণের সংখ্যা কমার বিষয়টি নিয়ে একটা বিভ্রান্তি আছে। কারণ, অনেক দেশ পরীক্ষাই কমিয়েছে। কম গুরুতর ঘটনা শনাক্ত করা হচ্ছে না।

ডব্লিউএইচওর করোনাসংক্রান্ত কারিগরি বিষয়ের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, তাঁরা জানেন, সংস্থাটির কাছে করোনার সংক্রমণের যে তথ্য আসছে, তা প্রকৃত নয়। তাঁরা মনে করেন, সংক্রমণের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

করোনার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সব সদস্যকে টিকা দেওয়ার জন্য বিনিয়োগে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি একই সঙ্গে করোনার পরীক্ষা ও জিনোম সিকোয়েন্সিং অব্যাহত রাখতে বলেছে।

ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, ‘আমরা একত্রে এই মহামারি শেষ করতে পারি। কিন্তু তা তখনই সম্ভব হবে, যদি সব দেশ, টিকা উৎপাদনকারী, সম্প্রদায় ও ব্যক্তি এগিয়ে আসে। এই সুযোগ গ্রহণ করে।’