যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিয়ে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার ও জোনাথন অ্যাশওয়ার্থের নেতিবাচক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দুই সংগঠন বাঙালিনেস রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্রাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ)। একই সঙ্গে এই দুই নেতাকে তাঁদের বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
গতকাল বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক উদ্যোগ বিআরআই এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের ভুক্তভোগীদের পক্ষে কাজ করা বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক আইসিএসএফ। দুটি সংগঠনই বাংলাদেশ ও বাঙালি স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম দ্য সান আয়োজিত এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে স্টারমার বলেছিলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে যেসব মানুষ আসছেন, তাঁদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। কনজারভেটিভ সরকারের রুয়ান্ডা অভিবাসী প্রত্যাবাসন প্রকল্পের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেছিলেন। একই সময়ে বাংলাদেশ ও বাঙালিদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন জোনাথন অ্যাশওয়ার্থ।
দুজনের মন্তব্যের বিষয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিয়ার স্টারমার ও জোনাথন অ্যাশওয়ার্থের নেতিবাচক মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিআরআই ও আইসিএসএফ। তাঁরা এমন একটি সম্প্রদায়কে নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যাঁরা ব্রিটিশ সমাজ এবং এর অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন।
বিআরআই ও আইসিএসএফ বলেছে, আধুনিক ব্রিটেনও অনেকাংশে গড়ে উঠেছে ঐতিহাসিক বাংলা অঞ্চল থেকে আহরণ করা সম্পদ দিয়ে। এ ছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লাখো বাঙালি সেনা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অংশ হিসেবে লড়াই করেছে। তাই স্টারমার ও অ্যাশওয়ার্থের ওই মন্তব্য তাঁদের নিজেদের ইতিহাসের ব্যাপারেই কৃতজ্ঞতাহীনতা ও অজ্ঞতার পরিচয় দেয়।
কিয়ার স্টারমার ও জোনাথন অ্যাশওয়ার্থকে তাঁদের বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, লেবার পার্টিকে অনতিবিলম্বে ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক অতীতের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে, তা না করে কমিউনিটি টিভি চ্যানেলে হাজির হয়ে নিজের বক্তব্য নিয়ে স্টারমার যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা ‘কথার কথা’ হিসেবে বিবেচিত হবে।