ইউক্রেনের জন্য ২৭০ কোটি ইউরো মূল্যের (প্রায় ৩০০ কোটি ডলার) নতুন অস্ত্রসহায়তা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে জার্মানি। গতকাল শনিবার জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। এটিকে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনকে বার্লিনের দেওয়া সবচেয়ে বড় আকারের সহায়তা বলে উল্লেখ করেছে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যম।
জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের সবার প্রত্যাশা, ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে রাশিয়া যে ভয়াবহ যুদ্ধ চালাচ্ছে, তার দ্রুত অবসান হোক। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে যত দিন দরকার জার্মানি সাধ্যমতো ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে যাবে।’
জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এ সহায়তার মধ্যে ৩০টি অতিরিক্ত লেপার্ড-১ ট্যাংক, মার্ডার সাঁজোয়া যান, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও নজরদারি ড্রোন রয়েছে।
জার্মান সাময়িকী দের স্পিগেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটি জার্মানির দেওয়া সবচেয়ে বড় আকারের অস্ত্রসহায়তা।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর পশ্চিমা মিত্রদেশগুলো ইউক্রেনের জন্য ক্রমাগত শক্তিশালী অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চাইলেও তা এখন পর্যন্ত কেউ সরবরাহ করেনি।
গত বছর জার্মানি ইউক্রেনকে ২০০ ইউরো মূল্যের সামরিক সহায়তা দিয়েছিল।
ইউক্রেনকে আরও অত্যাধুনিক ট্যাংক লেপার্ড-২ পাঠানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। এগুলোর ব্যবহার নিয়ে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করেছে তারা।