ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী রুশ প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপের যোদ্ধারা রাশিয়া থেকে বেলারুশে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ডিপিএসইউ। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিপিএসইউর মুখপাত্র আন্দ্রি দেমচেঙ্কো।
বেলারুশের সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেন—দুই দেশেরই বড় সীমান্ত রয়েছে। আন্দ্রি দেমচেঙ্কো বলেন, ভাগনার যোদ্ধারা বেলারুশে পৌঁছানোর পর ইউক্রেনের উত্তর সীমান্তজুড়ে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির সীমান্তরক্ষীরা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
এদিকে শনিবারই বেলারুশের একজন ব্লগার দেশটিতে ভাগনারের একটি বড় বহর প্রবেশের খবর জানিয়েছেন। ‘বেলারুস্কি হাজুন’ নামের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে তিনি লিখেছেন, ভাগনার যোদ্ধাদের বহনকারী বেশ কয়েকটি গাড়ি, লরি ও পিকআপ নিয়ে বেলারুশের ওসিপোভিচি শহরের দিকে যাচ্ছিল দেশটির ট্রাফিক পুলিশ। শহরটি রাজধানী মিনস্ক থেকে ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পূর্বে।
বেলারুশের ওই ব্লগার দেশটির সরকারবিরোধী। বেলারুশ সরকার তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেলকে চরমপন্থী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ভাগনার যোদ্ধাদের নিয়ে চ্যানেলটির পোস্টের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে কোনো মন্তব্য করেনি বেলারুশ সরকার। তবে অসমর্থিত আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ভাগনারের যোদ্ধাদের নিয়ে ৪০ গাড়ির একটি বহর রুশ সীমান্ত পেরিয়ে বেলারুশে প্রবেশ করেছে।
এর আগে গত শুক্রবার বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, দেশটির সেনাদের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন ভাগনার যোদ্ধারা। ওসিপোভিচি শহরের কাছে বেলারুশের সেনাদের ‘বিভিন্ন সামরিক শৃঙ্খলা’ শেখাচ্ছেন তাঁরা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল ভাগনার। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধের জেরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন বাহিনীটির প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে পিছু হটেন তিনি। এ সময় মস্কোর সঙ্গে তাঁর একটি সমঝোতা হয়। সে অনুযায়ী, প্রিগোশিন ও তাঁর যোদ্ধাদের একাংশের বেলারুশে যাওয়ার কথা ছিল। তবে প্রিগোশিন এখন কোথায় আছেন, তা স্পষ্ট নয়।