রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, আগস্টে ভাগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনকে বহনকারী উড়োজাহাজে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি। উড়োজাহাজের ভেতরেই হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়ে এটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
গত ২৩ আগস্ট উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন নিহত হন। ওই ঘটনায় ভাগনারের আরও দুই শীর্ষ নেতা, প্রিগোশিনের চার দেহরক্ষী ও তিনজন ক্রুও নিহত হন। উড়োজাহাজটি সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার পথে মস্কোর উত্তরে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনার পরপরই মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেন, উড়োজাহাজটিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ভাগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সোচি শহরের ব্ল্যাক সি রিসোর্টে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক বৈঠকে পুতিন দাবি করেন, উড়োজাহাজটি ভেতর থেকে বিস্ফোরিত হয়েছে। বাইরে থেকে হামলা হয়নি। রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান কয়েক দিন আগে তাঁকে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন।
পুতিন বলেন, ‘উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের শরীরে হ্যান্ড গ্রেনেডের টুকরা পাওয়া গেছে।’
পুতিন বলেন, উড়োজাহাজটিতে বাইরে থেকে কোনো হামলা হয়নি। এটা নিশ্চিত। উড়োজাহাজের ভেতরে কীভাবে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হলো, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি পুতিন। তবে তিনি মনে করেন, ওই উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের শরীরে মাদক পরীক্ষা না করে তদন্তকারীরা ভুল করেছেন।
পুতিন বলেন, ‘আমার মতে, এ ধরনের পরীক্ষা চালানো দরকার ছিল, কিন্তু তা চালানো হয়নি।’
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবির সদস্যরা সেন্ট পিটার্সবার্গে ভাগনারের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছিলেন। সেখান থেকে নগদ এক হাজার কোটি রুবল এবং পাঁচ কেজি কোকেন উদ্ধার হয়েছে।
পুতিনের বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে ভাগনার কিংবা প্রিগোশিনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।
ভাগনারপ্রধানের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় তদন্তকারীরা এখনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেননি।