ব্রিটেনের রাজা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভাষণ দিয়েছেন তৃতীয় চার্লস। ওয়েস্টমিনস্টার হলের ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের জীবন্ত ও শ্বাস–প্রশ্বাসের যন্ত্র হলো পার্লামেন্ট।’ রাজার ভাষণের আগে আইনপ্রণেতারা একসঙ্গে জাতীয় সংগীত গান।
পার্লামেন্টের ভাষণে রাজা তৃতীয় চার্লস বলেন, ‘আজ আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের চারপাশের ইতিহাসের ভার অনুভব করার বিষয় এড়িয়ে যেতে পারি না। এটা আমাদের অতীব জরুরি সংসদীয় ঐতিহ্যের কথা মনে করায়, যার প্রতি উভয় কক্ষের সদস্যরা সবার উন্নতির প্রতিশ্রুতিতে নিজেকে উৎসর্গ করেন।’
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনস ও উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের আইনপ্রণেতাদের সামনে রাজা তাঁর প্রয়াত মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে স্মরণ করেন। চার্লস বলেন, ‘নিঃস্বার্থভাবে দায়িত্ব পালনের একটি উদাহরণ তৈরি করে গেছেন তিনি (রানি)। ঈশ্বরের সাহায্য ও আপনাদের পরামর্শে আমি বিশ্বস্ততার সঙ্গে তা অনুসরণ করব।’
এ সময় সমবেত আইনপ্রণেতারা সমস্বরে বলে ওঠেন, ‘গড সেভ দ্য কিং’ (ঈশ্বর, রাজাকে রক্ষা করুন)। এর আগে রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর স্ত্রী ‘কুইন কনসর্ট’ ক্যামিলা ওয়েস্টমিনস্টার হলে পৌঁছান। তারও আগে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং উভয় কক্ষের আইনপ্রণেতারা ওয়েস্টমিনস্টার হলে সমবেত হন।
পার্লামেন্টে ভাষণ শেষে নতুন রাজা স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে প্রয়াত রানির স্মরণে করা এক আয়োজনে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। গত বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্যালেসে রানি মারা যান। গতকাল রোববার তাঁর কফিন এডিনবরায় নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পর্যন্ত এডিনবরার সেন্ট গিলস ক্যাথেড্রালে তাঁর মরদেহ রাখা হবে। এখানে জনগণ তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। ওই দিনই রানির মরদেহ লন্ডনের রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসে আনা হবে। সেখান থেকে বুধবার নেওয়া হবে ওয়েস্টমিনস্টার হলে। ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে। এর আগে চার দিন তাঁর মরদেহ থাকবে ওয়েস্টমিনস্টার হলে। এই চার দিন সর্বসাধারণ রানির কফিন দেখার ও শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন।