মূল্যস্ফীতির কারণে জার্মানিতে কাবাবের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। গত দুই বছরের মধ্যেই সেখানে কাবাবের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তাই দেশটির একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় খাবার কাবাবের দামের ওপর রাশ টানতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
জার্মানিতে সত্তরের দশকে তুরস্কের অভিবাসীরা কাবাবের প্রচলন করেন। এর পর থেকে দেশটির অন্যতম প্রধান খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। দ্য গার্ডিয়ান ও দ্য ইনডিপেনডেন্ট–এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর জার্মানিতে ৭০০–৭৫০ কোটি মার্কিন ডলারের মাংস রান্না করে তৈরি করা ডোনার কাবাব বিক্রি হয়।
জার্মানির রাজনৈতিক দল লেফট পার্টি বলেছে, কিছু কাবাবের দাম ২ বছরে ৪ ডলার ৩০ সেন্ট থেকে ১০ ডলার ৮০ সেন্টে পৌঁছেছে।
লেফট পার্টির ইয়ুথ পলিসি–বিষয়ক মুখপাত্র কাথি জেবেল বলেন, দেশজুড়ে কাবাবের দাম কম করে হলেও ৭ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে একে বিলাসবহুল খাবার হওয়া থেকে রক্ষা করতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দলটির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কাবাবের দাম ৫ ডলার ৩০ সেন্ট বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। দেশের তরুণদের কথা মাথায় রেখে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এর জন্য সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে এ নিয়ে জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মজুরি ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় ডোনার কাবাবের দাম বেড়েছে। কাবাব বিক্রির দোকানগুলোর বেশি ভাড়া, জ্বালানি খরচ ও কাবাবের উপাদানের জন্য খরচ বেশি হচ্ছে। এগুলোর খরচ কমানো গেলে কাবাবের দামও কমে যাবে বলে মনে করেন জেবেল।
জেবেল আরও বলেন, ‘সরকার যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তবে কাবাবের দাম বেশি থেকে যাবে।’
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে আগেই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যেখানে যাই, তরুণেরা আমাকে কাবাবের দাম কমবে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন।’
এর আগে শলৎজ অবশ্য কাবাবের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেন। তিনি এ সময় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টার কথা বলেন। দেশটির পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে জার্মানিতে গ্রাহকপণ্যের দাম ৫ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছিল। দেশটিতে জ্বালানি খরচ বেড়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ও অভ্যন্তরীণ নানা সংকটে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে।