ইতালির সিসিলি দ্বীপের উপকূলে একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরি ডুবে সাতজনের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ড’ ধরে তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সিসিলির সরকারি কৌঁসুলিরা এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। একই সঙ্গে তাঁরা বলেছেন, দুর্ঘটনার কবলে প্রমোদতরিটি ডোবেনি। ক্রু সদস্যদের আচরণ এবং যেভাবে তাঁরা প্রমোদতরিটি নিয়ন্ত্রণ করেছেন তার কারণেই এটি ডুবে গেছে।
গত সোমবার ঝড়ের কবলে পড়ে প্রমোদতরিটি ডুবে যায়। এরপর একে একে সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রমোদতরিটি ডুবে মারা গেছেন ব্রিটিশ ধনকুবের ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মাইক লিঞ্চ, তাঁর ১৮ বছর বয়সী মেয়ে হানা, চার বন্ধু এবং প্রমোদতরিতে থাকা একজন পাচক।
সিসিলির কৌঁসুলি আমব্রোজিও কারতোসিও আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারমিনি ইমেরাসি শহরের কৌঁসুলির কার্যালয় রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে। আমরা ধারণা করছি, ক্রু সদস্যদের অবহেলার কারণে জাহাজডুবি ও একাধিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে।’
এ ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হওয়ার কারণে প্রকাশ্যে এ মামলার তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে বলেন জানান আমব্রোজিও কারতোসিও। তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। এ পর্যায়ে আমরা সম্ভাব্য কোনো কারণকেই উড়িয়ে দিতে পারছি না।’
সম্প্রতি একটি মামলা থেকে খালাস পাওয়া উপলক্ষে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে প্রমোদতরি নিয়ে সিসিলি দ্বীপে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ৫৯ বছর বয়সী মাইক লিঞ্চ। কিন্ত সোমবার ভোররাতের কিছুক্ষণ আগে দুর্বল একটি টর্নেডো আঘাত হানলে ১৮৫ ফুট প্রমোদতরিটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ১৫ জনকে জীবিত ও প্রমোদতরিটির পাচকের মরদেহ উদ্ধার হয়। নিখোঁজ ছিলেন ছয়জন।
এ ঘটনার পরপরই শুরু হয় বড় পরিসরে একটি উদ্ধার অভিযান। দুই দিন পর বুধবার মাইক লিঞ্চের চার বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা। বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হয় লিঞ্চ ও তাঁর মেয়ে হানার লাশ।