কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌবহরে হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলোয় কানাডার তৈরি যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওই যন্ত্রাংশগুলো দিকনির্দেশনা (নেভিগেশন) ঠিক করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া উপদ্বীপসংলগ্ন কৃষ্ণসাগরে গত শনিবার রুশ নৌবহরে হামলা চালায় ইউক্রেনের ১৬টি ড্রোন। তবে ইউক্রেনের ওই হামলা প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানায় মস্কো।
বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ধ্বংস করা ইউক্রেনের ড্রোনগুলোয় কানাডার নেভিগেশন ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে। সেগুলো খতিয়ে দেখেছেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞরা। নেভিগেশন ব্যবস্থায় সংরক্ষিত তথ্য থেকে জানা গেছে, ড্রোনগুলো ওদেসা শহরের কাছাকাছি উপকূল থেকে পাঠানো হয়েছিল।
বিবৃতি অনুযায়ী, ইউক্রেনের ড্রোনগুলো প্রথমে ‘গ্রেইন করিডর’ হিসেবে পরিচিত নিরাপদ অঞ্চলের ওপর দিয়ে উড়ে আসে। পরে সেগুলো দিক পরিবর্তন করে ক্রিমিয়ার সবচেয়ে বড় শহর সোভাস্তোপোলে অবস্থিত রুশ নৌঘাঁটিতে পৌঁছে হামলা চালায়।
একটি ড্রোন বেসরকারি জাহাজ থেকে পাঠানো হয়েছিল বলে মনে করছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের ভাষ্য, ওই জাহাজটি ইউক্রেন বা দেশটির পশ্চিমা কোনো মিত্রের। সেটি ইউক্রেনের বন্দর থেকে থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানির কাজে ব্যবহার করা হয়।
এর আগে রাশিয়া দাবি করেছিল, শনিবার সেভাস্তোপোলে ড্রোন হামলার পরিকল্পনা করতে ইউক্রেনকে সহায়তা করেছেন যুক্তরাজ্যের সামরিক বিশেষজ্ঞেরা। তবে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে মস্কোর ওই দাবি নাকচ করা হয়।
রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডকে ক্রিমিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা প্রধান একটি সেতুতে গত মাসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই সেতুটির একটি অংশ ধসে পড়ে। বিস্ফোরণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে মস্কো। তবে কিয়েভের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। এরপর থেকেই ইউক্রেনজুড়ে ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।